স্নানের সময় জলাশয় বা বাওরের জলে স্থানীয় দুটি বাচ্চার হাতে উঠে এসেছে এই শ্বেত শিবলিঙ্গ। চৈত্র মাসেই উঠে আসা এই শ্বেত শিবকে দেখতেই এখন জমছে ভিড়। তবে জনশ্রুতি, এলাকায় কারওর বাড়িতে বা মন্দিরে রাখা যাচ্ছে না এই শিবকে। একমাত্র বাওরের সামনেই ঠিকঠাক থাকছেন শ্বেত শিবলিঙ্গ। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরাই এখন ওই স্থানে মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মহাদেবকে স্থায়ীভাবে রাখার জন্য।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোবরডাঙার কঙ্কনা বাওরে স্থানীয় দুই শিশু যখন স্নান করছিল তখনই হাতে উঠে আসে এই শিবলিঙ্গ। সাধারণত কালো পাথরের শিবলিঙ্গ দেখা গেলেও, সাদা শিব লিঙ্গ সেভাবে দেখা যায় না বলেই মত স্থানীয়দের। স্থানীয় এক পুরোহিত প্রথমে তা পূজা জন্য নিয়ে গেলেও, দুদিনের মধ্যেই ফের সেই শিব লিঙ্গটিকে পুনরায় বাওরের কাছেই নিয়ে আসেন। বলেন এই শিব মূর্তি তার পক্ষে পূজা করা সম্ভব নয় যদিও নির্দিষ্ট কোনও কারণ তিনি উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন : আলু না সোনা! ১ কেজির দাম ৫০,০০০ টাকা! কোথায় পাওয়া যায় এই মহার্ঘ্য আলু, জানুন
পরবর্তীতে এলাকারই এক জাগ্রত শীতলা মন্দিরে স্থান হয় এই শ্বেত শিবলিঙ্গের। সেখানেও দিন চারেক থাকার পর মন্দিরের পুরোহিত জানান এই শিবলিঙ্গ পুজো করা তার পক্ষে অসম্ভব। এর পর আবারও ফের বাওরের পাশে বাবলাতলায় ফিরে আসে শেত শিবলিঙ্গ। এরপরই এলাকাবাসীরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন এখানেই প্রতিষ্ঠা করা হবে সাদা শিবকে। সেই অনুযায়ী বটগাছের নীচেই স্থাপিত হন মহাদেব।
এখন জোরকদমে চলছে অর্থ সংগ্রহ। স্থানীয় এলাকাবাসী-সহ বহু ভক্ত নানা প্রান্ত থেকে আসছেন এই শ্বেত শিবকে দর্শন করতে এবং মুক্ত হস্তে দান করছেন মন্দির তৈরির জন্য। স্থানীয়দের কথায় এখানেই মন্দির তৈরি করে দেওয়া হবে মহাদেবের। নীল পূজোর দিনই করা হবে মন্দির উদ্বোধন। এখন এই সাদা শিবকে নিয়েই মেতে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন এই শিবের দর্শন পাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে যেন উৎসবের মেজাজ গোবরডাঙা বাওর এলাকায় এই জাগ্রত শিবকে কেন্দ্র করে।