ঠাকুর থালি থেকে বচ্চন থালি, ধর্মেন্দ্র থালি, বাসন্তী থালি, গব্বর থালি সহ একাধিক থালি এখানে পাওয়া যাবে। তবে সব থেকে দাম বেশি গব্বর থালির। কারণ শোলে ছবিতে গব্বর এর চরিত্র সবার মনে দাগ কেটেছিলো। পাশাপাশি চরিত্রটাকে মানুষ ভয়ও পেতো। তাই শোলে কিচেনে গব্বর থালিতে এত ধরণের খাবার যা দেখে ভয়ই লাগবে। অন্তত দেখে একবার বলতেই হবে এত খাবার খেতে পারবো তো? ১০৯ টাকা থেকে শুরু ভেজ থালি। যেখানে থাকছে ভাত, ডাল, ভাজা, তিন রখমের স্পেশাল সবজি, চাটনি, পাপড় এবং পায়েস। এরপর, চিকেন, মটন, নানান রখমের মাছ এর থালিতো আছেই। তবে গব্বর থালির দাম সবথেকে বেশি। গব্বর থালি পরবে ৭৯০ টাকা। ১০০ শতাংশ বাঙালিয়ানা এই শোলে কিচেনে। খাবার পরিবেশন একেবারে কাঁসার থালা, বাটি, গ্লাসে, লাইভ কিচেনের ব্যবস্থা আছে ইন্ডিয়ান, চাইনিজ এবং বাঙালি খাবারের। অর্থাৎ যারা খেতে আসবে তারা এসে অর্ডার করার পর সব বানিয়ে দেওয়া হবে।
advertisement
গেট থেকে প্রবেশ করার পর থেকেই চারিদিকে শোলের কাটআউট, যত ভিতরে যাওয়া যাবে দেখা যাবে শোলে ছবি বিভিন্ন মুহূর্ত দেওয়ালে খোদাই করে রাখা হয়েছে। পরিবেশ এক কথায় অসাধারণ। একই সাথে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আত্মীয়তার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। দুপুর ১২ থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত পাওয়া যাবে যাবতীয় বাঙালি থালি। তবে লাঞ্চ টাইম শুরু হয় সাড়ে বারোটা থেকে। বিকেলে পেয়ে যাবেন ইন্ডিয়ান, চাইনিজ নানান খাবার। হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে একই খরচে।
আরও পড়ুন: দিশা থেকে মঞ্জুষা! সাত টলি নায়িকার আত্মহত্যা! মৃত্যু রুখতে নতুন ভাবনা আর্টিস্ট ফোরামের!
পাশাপাশি কেউ কোন অনুষ্ঠানে বুক করলে তাকে শুধুমাত্র মাথাপিছু প্লেটের খরচটুকু দিতে হবে এর বাইরে আর কোব খরচ নেই। যে সব মানুষ এই শোলে কিচেনে একবার খেয়ে গেছে তারা বারবার আসে এখানে খেত। যেমন ঘরোয়া স্বাদ, খরচও খুব কম। বাড়িতে এত আইটেম রান্না করে খেতে খরচ এর দ্বিগুণ চলে যায় বলেই জানালেন একজন ভোজন রসিক গ্রাহক। তাই বাড়ির রান্না ঘরে তালা দিয়ে, একদিন খাওয়াই যায় এই ভেবে মধ্যমগ্রামের আসপাশের ভোজনরসিক বাঙালির আনাগোনা প্রতিদিনই। আগে থেকে বুক করে এলে সময় কম লাগবে। না হলে হয়তো আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে টেবিলে বসার সিরিয়াল পেতে। সবমিলিয়ে মধ্যমগ্রামের শোলে কিচেন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন সকলের পছন্দের এবং পরিচিত নাম।
রুদ্র নারায়ন রায়