আরও পড়ুন: বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে চমক ছাত্রীদের
মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে ওই সব পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের আঁকা, পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজে চলার জন্যও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে তাদের শিক্ষিত করে তুলছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। এই বিদ্যালয়ে চলে নিয়মিত ক্লাস। এহেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শতাধিক হলেও, প্রতিদিন আসে না সকলে। পর্যায়ক্রমে ভাগে ভাগে শিক্ষার্থীরা অল্প সংখ্যায় আসতে বলা হয়। যাতে ভাল করে ক্লাস করানো যায়।
advertisement
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কনিকা পাঠক জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে নিয়মিত এই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চলছে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই পড়ুয়াদের যথেষ্ট যত্ন সহকারে দিদিমনিরা পড়ান। মূল লক্ষ্য তাদের সমাজের মুল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। যাতে জীবনে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারে। তারা যাতে কারোর কাছে বোঝা না হয়ে দাঁড়ায় সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে প্রতিবন্ধীদের এই স্কুল। কোনদিন দশ জন আবার কোনদিন কুড়িজন করে বিদ্যালয়ে আসে পড়ুয়ারা। স্কুলটিতে বারোজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। পড়াশোনার মাঝে টিফিনেরও ব্যবস্থা করা হয় স্কুলের তরফে। যদিও কোনও সরকারি অনুদান পায় না এই স্কুল। শিক্ষক থেকে অভিভাবক সকলেরই মত, সরকারি সাহায্য পেলে আরও ভাল করে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত।
রুদ্রনারায়ণ রায়