“নীলদর্পন” বইটির লেখক, দীনবন্ধু মিত্রের বাড়িটি বর্তমানে এখন কার্যত ভুতুড়ে বাড়ির রূপ নিয়েছে। বাড়ির গা বেয়ে নেমেছে গাছের ঝুরি। হেরিটেজ হিসেবে গণ্য হলেও দেখে বোঝার উপায় নেই। বিশাল দরজাগুলি ক্ষয়ে গিয়েছে আর জানলা বলতে, এখন শুধুই আগাছা আর লতা-পাতা রয়েছে। বনগাঁ মহকুমার অন্তর্গত গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া গ্রামে, দীনবন্ধু মিত্রের বাসভবনের অবশিষ্ট অংশ পড়ে রয়েছে তেরো কাঠা এলাকা জুড়ে।
advertisement
বনগাঁ শহর থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চৌবেড়িয়া, দীনবন্ধু মিত্রের জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত। এই এলাকায় নানান ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। দীনবন্ধু মিত্রের নামে রয়েছে স্কুল, রাস্তার নামকরণ হয়েছে।
দীনবন্ধু মিত্রের চতুর্থ প্রজন্মের বংশধর সঞ্জিত মিত্র জানান, “বাড়িটি হেরিটেজ হয়েছে অনেক আগেই , এবার বাড়িটির সংস্কার করার প্রয়োজন।" সঞ্জিত বাবু মনে করেন, "একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন তাঁর সংস্কৃতি মনস্কতা দিয়ে বাড়িটিকে পূর্ণসংস্কার করাতে।”
পাশাপাশি, মিত্র পরিবারের দাবি, সরকার দীনবন্ধু মিত্রের জন্মদিন পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিক। হেরিটেজ বাড়িটি অবিলম্বে সংস্কার না করা হলে এক সময় হারিয়ে যাবে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন এমনটাই দাবি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। ইতিহাস রক্ষায় কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করে জেলা প্রশাসন, এখন সেটাই দেখার।
Rudra Narayan Roy