গত ১৬ মার্চ নোটিশ দিয়ে হাসনাবাদ স্টেশন থেকে শনিবারের মধ্যে হকারদের উঠে যেতে বলে পূর্ব রেল। সেই নোটিশে উল্লেখ করা তারিখ অনুযায়ী শনিবার বেলার দিকে আরপিএফদের উপস্থিতিতে বুলডোজার নিয়ে এসে হকারদের দোকান ভাঙতে শুরু করে রেল। প্রথমে একটি ক্লাব ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর একে একে রেলের জমি ফাঁকা করতে শুরু করে। স্টেশন চত্বরে হকারদের স্টল ভাঙা শুরু করতেই রেল কলোনির বাসিন্দারা হকারদের সঙ্গে মিলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবিতে রেল পুলিশ ও আরপিএফদের ঘিরে ধরেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় মাটিতে আপনার পায়ের যে চাপ পড়ে, তা থেকেই এবার জ্বলবে স্ট্রিট লাইট!
এই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হন রেলের আধিকারিকরা। এদিকে এদিন চলে গেলেও আগামী ২০ মার্চ অর্থাৎ সোমবার ফের হকার উচ্ছেদ করা হবে বলে নোটিশ দিয়েছে রেল। যদিও হাসনাবাদ স্টেশনের হকাররা রেলের নির্দেশ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, বহু বছর ধরে এখানে হকারি করছেন। তাঁদের আগে বাপ-ঠাকুরদা এই হকারি শুরু করেছিলেন। তাই বিকল্প জীবিকার পুনর্বাসন না দিলে তাঁরা রেল স্টেশনে হকারি বন্ধ করবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।
১৯১৪ সালে হাসনাবাদ স্টেশনের সূচনা হয়। এই স্টেশন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ হাসনাবাদ স্টেশনে হকারি করেন। এখান থেকেই যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার। ফলে হকারি বন্ধ হয়ে গেলে মুখ থুবড়ে পড়তে পারেন এই মানুষগুলি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, সুন্দরবনের কয়েকশো মানুষ এই স্টেশনে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও বাসস্থানের ব্যবস্থা যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।
জুলফিকার মোল্লা