কেন ? কি কারণে বেরিয়ে আসছেন কাঁদতে কাঁদতে? তা জানতে চাওয়া হলে যদিও কোন উত্তর দিতে চাননি জয়ী ওই মহিলা প্রার্থী। জানা যায়, সুষ্ঠুভাবে যাতে গণনা সম্পন্ন হয় সেই জন্য আইএসএফের এজেন্টকে হাত ধরে গণনা কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যেতেই চরম কটুক্তি ও লজ্জা জনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয় শাসকদলের মহিলা প্রার্থী রেশমি মণ্ডলকে। দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বদের কথা অনুযায়ী সৌজন্যতা দেখাতেই, নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় বলে ভোট গণনা কেন্দ্রের থাকা অন্যান্য দলীয় কর্মীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাইরে এসে তিনি জানান “এভাবে জিততে চায়নি”।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে দরদর করে ঘামছেন? জানেন শরীরের এই বিশেষ অংশ কখনই ঘামে না! খেয়াল করেছেন কী!
প্রসঙ্গত, এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র সকাল থেকেই আইএসএফের সঙ্গে শাসকদলের দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ থাকলেও এগিয়ে আসেনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী বলেই অভিযোগ। নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায় তাদের। অশোকনগরের বেড়াবেরি পঞ্চায়েতের ৫৬ ও ৫৭ নম্বর বুথের আইএসএফ প্রার্থী ইসমাইল মণ্ডল ও তার নির্বাচনী এজেন্ট আকরামুজ্জামান এদিন নিজেদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যখন ভোট কাউন্টিং-এ ব্যস্ত, তখন আইএসএফ-এর প্রার্থী ভোট গণনায় জিততে চলেছে দেখেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা টেনে হিঁচরে তাকে সরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:
নিজের গণনা টেবিল থেকে সরতে নারাজ প্রার্থীকে বাইরে বের করতে চলে বেধড়ক মারধর। গণনা কেন্দ্রের গ্রিল আঁকড়ে ধরে কোনক্রমে বাঁচার চেষ্টা করেন তারা। এমনকি ব্যালট পেপার পুকুরে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ করা হয় আইএসএফের তরফ থেকে। তবে শাসকদলের জয়ী মহিলা প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে এমন কথা বলায় রীতিমতো বিরোধীরা এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেই গণনা প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলছে শাসক দলর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে গণনা শুরু হলেও, এলাকায় এখনও রয়েছে চরম উত্তেজনা।
রুদ্র নারায়ন রায়