শুধুমাত্র জেলা পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরেই, লালবাজারেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল মৃত ভূতনাথ মন্ডলের পরিবারের তরফ থেকে। কিভাবে তিনি এত দূরে পৌঁছলেন তা নিয়েই রহস্য ডানা বাঁধছে! তবে চাঁপাপুকুরে ভূতনাথের মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে পরিবার৷ এদিন বারাসত থানায় খুনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ জানায় পরিবার। পরিবারের দাবি, ফেরার সময় তিনি কিছু কেনার জন্য দাঁড়ান৷ এরপর থেকে আর কোন খোঁজ মেলেনি। ভূতনাথের পকেটে বেশ কিছু টাকাও ছিল বলে দাবি পরিবারের। অবশেষে হাসনাবাদ লাইনের চাঁপাপুকুর এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জিআরপির কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পৌঁছন চাঁপাপুকুরে।
advertisement
আরও পড়ুন: কালী পুজোয় বাজারে আসছে পরিবেশবান্ধব বাজি ! চিনবেন কীভাবে? জানুন
পরিবারের দাবি, রেলে কাটা পড়লে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকত৷ কিন্তু তেমন কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি মৃত ব্যাক্তির শরীরে। এরপরই, তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে প্রশাসনের দারস্ত হয়েছে পরিবার। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ মৃতের কাকা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, শ্মশানে ওর সঙ্গে বেশ কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছিল৷ আমি টাকা বাড়িতে রেখে যেতে বলেছিলাম৷ হয়তো টাকার জন্যই ওকে মদ খাইয়ে খুন করে চাঁপাপুকুরে ফেলে দিয়েছে৷ এটা খুন বলেই মনে করছি আমরা৷ স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে পরিবারের সদস্যরা সকলেই এখন চাইছেন প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে উন্মোচিত করুক পুলিশ। মৃত্যুর আসল কারণ, পাশাপাশি খুনের ঘটনা ঘটলে দোষীদের অবিলম্বে ধরে সাজা দেওয়ারও দাবী জানানো হয়েছে।
রুদ্র নারায়ন রায়