হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গুরুতর অবস্থায় ওই মহিলাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। বারাসাত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা ওই গর্ভবতী মহিলাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
সেখানেই ইউএসজি করে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেটে থাকা বা শিশুটি তখনও বেঁচে রয়েছে। এরপরই হাসপাতালের চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন অপারেশনের। এরপরই বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সম্মতি পাওয়ার পরেই চিকিৎসকরা দ্রুত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। ওই মহিলার নাম রীতা সাহা। মেডিক্যাল বোর্ড ওই মহিলার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অপারেশনেই মেলে সাফল্য। বিষয়টি নিয়ে বারাসাত হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, ভেন্টিলেশনে থাকা কোনও রোগীকে আবার অজ্ঞান করে সিজার করার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে খুব কম হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন, কুন্তলের টাকাতেই কিনেছেন গাড়ি! ED-র দফতর থেকে বেরিয়ে জানালেন বনি সেনগুপ্ত
আরও পড়ুন, স্কুলে সন্তান পাঠিয়েও শান্তি নেই! মহিলা কর্মচারীর কুপ্রস্তাবের মেসেজ, পরে যা হল
জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত পুত্র সন্তানটির ওজন হয়েছে ১,৬০০ গ্রাম। এদিন দুজনকেই বারাসাত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও রোগী পরিবারকে যথেষ্টই বুঝিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের জন্য রাজি করিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। হাসপাতালের এই সাফল্য আগামী দিনে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত তৈরি করলো বলেও মনে করছেন অনেকে।
Rudra Narayan Roy