এলাকায় সনাতন মানেই দিবারাত্র পরিষেবা পাবে মানুষ এমনটাই বলছেন গ্রামবাসীরা। আয়লা, আমফান ও ইয়াসের মতো বিপদেও ছুটে গিয়েছেন এলাকার মানুষের জন্য। কিন্তু তাঁর নিজের কয়েক কাটা ফসলের জমি নিয়ে তার নিজস্ব সম্পত্তি। স্ত্রী সুমিত্রা সর্দার, বছর ১২ এর মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে চারজনের পরিবার। তাঁর স্ত্রী এখনও কাঠের জালে রান্না করেন প্রতিদিনকার মতো।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে মৃত হরিণের মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছে নগ্ন দুই মহিলা! ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ
নিজের অল্প জমি, তাই সকাল হতেই দেখা যায় গামছা হাতে লাঙল ও গরু নিয়ে অন্যের জমিতে গিয়ে কাজ করেন। পাশাপাশি নিজের জমিতে কিছু সবজি ফসল তৈরি করেন। পঞ্চায়েতের নির্ধারিত সময় হলে সাড়ে দশটায় তিনি গিয়ে পঞ্চায়েতে মানুষের পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। এভাবেই দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি মানুষের সনাতন হয়ে বেঁচে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তিনি ভগবান ও সৎ ব্যক্তি। যে কোন বিপর্যয় যেকোনো শংসাপত্র থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সুবিধা নিয়ে মানুষের দুয়ারে হাজির হন। যেখানে শাসক দল একাধিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ঠিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তখন এই ছবি আরও একেবারে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের মানুষের কাছে সনাতন হয়ে উঠেছে সততার মূর্ত প্রতীক। সনাতন বাবু জানালেন, “আমি পদে থাকি আর না থাকি আদর্শ মেনে মানুষের কাজ করে যাব এটাই আমার মূল মন্ত্র। একদিকে জীবিকা নির্ভর করব, অন্যদিকে মানুষের পরিষেবা দিয়ে যাব।”
জুলফিকার মোল্যা