শিখরপুরের মাঠেই দেখা মিলল উজির আলির। বছর তিরিশের উজির জলের পাইপ নিয়ে সিলেকশান ঘাসের জমিতে জল দিচ্ছিলেন। কাজ করতে করতে তিনি জানালেন, ‘১৩ বছর ধরে শুধু ঘাস চাষ করছি। আমার কাকা, জ্যাঠারাও এই চাষ করেন। সারাবছরই ঘাস চাষ করা যায়। ঝড়, বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়াতেও ঘাসের কোন ক্ষতি হয়না।
সারা ভারতবর্ষ তো বটেই, বিদেশেও এর চাহিদা আছে। ঘাস চাষ করেই আমাদের রুটি রুজি চলে।’ উজির আরও জানালেন, এক বিঘা জমিতে সিলেকশান ঘাস চাষ করতে দু হাজার টাকার মত মাটি, পাঁচ হাজার টাকার প্ল্যাস্টিক, ছ’হাজার টাকার সার এবং সাত হাজার টাকার মত শ্রম খরচা হয়। সবমিলিয়ে বিশ হাজার টাকার মত খরচ। দু সপ্তাহের মধ্যেই সেই ঘাস কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
advertisement
নার্সারীর চাষিরা আড়াই বাই চার ফুট অর্থাৎ ১০ ফুটের ছোট ছোট কার্পেট তৈরি করেন। সেগুলিই রোল করে বড় বান্ডিল করে তা গাড়ি বোঝাই হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যায়। যা বিক্রি হয় চড়া দামে। মাঠ থেকে যে কার্পেট সরাসরি তিন থেকে চার টাকা বর্গফুট দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে, তা রিটেলে বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা বর্গফুট দরে। তাই অনেকেই এখন মজেছেন এই বিশেষ ঘাস চাষে।
Rudra Narayan Roy