শ্রমিকের কাজ করে কষ্টে সংসার চালান হামিদ। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ও দুই ছেলে। জমি জায়গা বিশেষ নেই। থাকার মধ্যে আছে দু’কাঠা চাষের জমি। আম্ফানের সময়ে পরিচিত এক ব্যক্তি আরব থেকে খেজুরের বীজ এনে দিয়েছিলেন তাকে। তিন ধরনের খেজুরের বীজ পেয়েছিলেন তিনি। সেগুলি থেকে চারা তৈরি করেছেন হামিদ। এখন খেজুর চাষে মন দিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: এক একটি বেডে দু’জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী! নদিয়ায় হু-হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি!
একে একে ৩০টি খেজুর গাছ তৈরি করেছেন হামিদ। তাঁর দাবি, এ বছর একটিতে ফলেছে প্রায় ১৫ কেজি খেজুর। যারা দেখতে আসছেন, তাদের হাতে দুয়েক টুকরো খেজুর দিচ্ছেন তিনি। হামিদের আশা, ২ বছরের মধ্যে সব গাছে খেজুর হবে। ভাল দামও মিলবে। তিনি জানান, তাঁর কাছে মোরিয়াম, সুক্কার ও আজোয়া তিন প্রজাতির খেজুরের চারা আছে। এই সব জাতের খেজুরের বাজারদর বেশ ভাল। তার দাবি, মোরিয়াম খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। সুক্কার প্রজাতির খেজুর বিক্রি হয় ৫০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। আজোয়া প্রজাতির খেজুরের দাম কেজি প্রতি ৮০০-২৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন:
খেজুর গাছের চারা বিক্রির ব্যবসাও শুরু করেছেন হামিদ। বাড়ির ছাদে বহু চারা তৈরি করেছেন তিনি। সেগুলির দাম এক হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। হামিদ জানান, বিশেষ পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করে বীজ রোপণ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “৩০ শতাংশ জৈব সার, ৩০ শতাংশ দোঁয়াশ মাটি, ২০ শতাংশ লাল বালি ও ২০ শতাংশ সাদা বালি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়। সেই মাটিতে বসানো হয় চারা।” হামিদ গাছের পরিচর্যা শিখেছেন ইউটিউব দেখে। এ বার আরও বেশি পরিমাণ জমিতে খেজুর গাছ বসানোর কথা ভাবছেন তিনি। চারা গাছ এবং খেজুর বিক্রি করে সুদিন ফিরবে বলে আশা করেন তিনি। আরবের খেজুর এখানে ফলবে, তা কখনও ভাবিননি কেউ। এটাই তার সাফল্য।
জুলফিকার মোল্যা