জেলার কৃষকরা বেশিরভাগই ধান, গম, পাট, সরিষার পাশাপাশি কপি, ক্যাপ্সিক্যাম, লাউ, কুমড়ো, পালং, পটল, উচ্ছে, লঙ্কার মত ফসল চাষ করে থাকেন। কপি, পালং, টম্যাটোর মত বর্তমানে লঙ্কা চাষও খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বলেই জানাচ্ছেন চাষীরা। বিশেষ করে শাসন খড়িবাড়ি দেগঙ্গার বহু চাষী গ্রামে বিঘার পর বিঘা হাইব্রিড বুলেট লঙ্কার চাষ করছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ঠিক মত লঙ্কা চাষ করলে শুধু চাষিরা নয় তা থেকে উপকৃত হন আমজনতাও। লঙ্কা এমন একটা ফসল যার মধ্যে শুধু ভিটামিন এ বি সি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম থাকে। তাই সরাসরি যে কোনও পদের সাথে কাঁচা লঙ্কা বা তরকারীতে মশলা হিসাবে কিংবা স্যালাড হিসাবে খেলেও মানবদেহের বিশেষ উপকার হয়। তবে এই হাইব্রিড বুলেটের চাষ শাসন এলাকায় ব্যাপক ভাবে হচ্ছে এবং সেই বিপুল পরিমাণ লঙ্কা বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে বলেও জেলার চাষিরা দাবি করেছেন।
advertisement
শাসনের লঙ্কা চাষি হাফিজুর রহমান জানান, ‘সাধারণ চেনা জানা লঙ্কার বাইরে আমরা এখন হাইব্রিড বুলেট লঙ্কা চাষ করছি। আমার মত এই এলাকার অনেক চাষীই বুলেট লঙ্কা চাষে মন দিয়েছেন।’ চাষীরা অল্প খরচে বেশি উপার্জনের আশায় কপি, পুইশাক, কুমড়ো, আলু ক্ষেতের মধ্যেই লঙ্কা চারা বপন করছেন। মাত্র ২০০ গ্রাম বীজ দিয়েই এক একর জমি চাষ করা যায়। ফলে লাভের আশায় এখন চাষিরা মেতেছেন হাইব্রিড বুলেট লঙ্কা চাষে।
রুদ্র নারায়ন রায়






