আনুমানিক ১৬৪০-৪৫ সালের মধ্যে টাকির তদানিন্তন জমিদাররা এই কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলায় জাগ্রত মন্দিরের অভাব নেই। তবে, কোন মন্দিরগুলো জাগ্রত, সেটা বোঝা ভক্তদের কাছে প্রায়শই কঠিন হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুরনো ভক্তরা অবশ্য সেসব জানেন। অনেক ভক্তদের বিশ্বাস, এই সব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও পাওয়া যায়। এমনই এক মন্দির হল উত্তর ২৪ পরগনার টাকির কুলেশ্বরী কালী মন্দির। বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই মন্দির।
advertisement
কথিত আছে বহুবছর আগে ইছামতীতে জেলেদের জালে উঠে এসেছিল সুন্দর নকশা করা ঘট। সেকথা জানতে পারেন টাকির জমিদার রায়চৌধুরীরা। জমিদার গিন্নি সেই রাতেই স্বপ্ন দেখেছিলেন, চালাঘর তৈরি করে ঘটটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খড়, বিচালি, গোলপাতা দিয়ে মাটির দেওয়ালের মন্দির বানিয়ে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। নদীর কুল থেকে ঘটটি পাওয়া গিয়েছিল বলে মন্দিরের নাম হয় কুলেশ্বরী কালীবাড়ি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পুরো নাম কী? ৯০% ভারতীয়ই কিন্তু জানেন না! আপনি জানেন?
আবার কেউ বলেন, কোনও সাধক ইছামতীর পাড়ে মা কালীর সাধনা করেন এবং সেই ঘট নদীর পাড়ে পড়েছিল। এরপর টাকির জমিদারকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ওই ঘট প্রতিষ্ঠা করার। তখনই টাকির জমিদার কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেওয়া হয় কুলেশ্বরী কালীমন্দির। কারণ, নদীর কুলেই এই মন্দিরের ঘট পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের ফোঁসফোঁসানি! তছনছ করবে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন! আবহাওয়ার বিরাট সতর্কতা
৪০০ বছর ধরে এখানে চলে নিত্যপুজো ও অন্নভোগ। বছরের বিশেষ তিথিতে এই মন্দিরে বড় আকারে পুজো করা হয়। একটা সময় এই পুজোয় কামান দাগা হত। বলি হত শতাধিক পাঁঠা ও মোষ। বর্তমানে এখানে মোষবলি বন্ধ হলেও চালু আছে পাঁঠাবলি। হাসনাবাদে টাকির এই কূলেশ্বরী কালী মন্দিরের পুজো দেখতে আজও ভিড় করেন অগণিত ভক্ত। কারণ, ভক্তরা বিশ্বাস করেন দেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত।
জুলফিকার মোল্যা






