স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিকেল হলেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। বাড়িতে পোষা গরু ,ছাগল, হাঁস, মুরগী তো খাচ্ছেই এখন মানুষকে দেখলেও ছাড়ছে না। জমিতে চাষ করতে গিয়ে শিয়ালের কামর খেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে। যদিও এখনও সেভাবে বনদফতরের তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানানো হয় পাশাপাশি, বনদফতরকে আবারও জানানো হবে বলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
advertisement
শিয়ালের কামড়ে আক্রান্তদের পাশে থেকে পঞ্চায়েত সব রকম সাহায্য করছে। গ্রামবাসীদের ভয়ের মূল কারণ হয়ে উঠছে শিশুদের নিয়ে। গ্রাম্য এলাকা হওয়ায় অধিকাংশ বাড়িতে বাথরুম বাইরে। প্রয়োজনে রাত্রে বেরোতে হয়। এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শিয়ালের দল। ফলে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীদের। যাদের কামড়েছে প্রত্যেকেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখিয়ে ভ্যাক্সিন নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।সব মিলিয়ে ফলদি গ্রাম এখন শিয়াল আতঙ্কে ভুগছে, আর এর থেকে রেহাইয়ের জন্য এখন বনদপ্তরের দিকেই তাকিয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
রুদ্র নারায়ন রায়