স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ দীনেশচন্দ্র মজুমদারের বসিরহাটের সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবিতে সোচ্চার হল বসিরহাটের নাগরিক সমাজ। উল্লেখ্য বিপ্লবী অনুজাচরণ সেনের মাধ্যমে যুগান্তর বিপ্লবী দলে যোগদান করেন দীনেশচন্দ্র। ১৯৩০ সালে অনুজাচরণ সেন ও দীনেশচন্দ্র মজুমদার অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট-এর গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেন। টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু দীনেশ মজুমদার ধরা পড়েন। অনুজাচরণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকির কুলেশ্বরী কালী মন্দির! ভীষণ জাগ্রত মা! জানুন অজানা কাহিনি
বসিরহাটের নিমতলা এলাকায় শহিদ দীনেশচন্দ্র মজুমদারের বাড়িটির আজ বেহাল দশা। বাড়িটির চারিপাশ থেকে খসে পড়ছে প্যালেস্তরা, গর্জে উঠেছে গাছপালা। বসিরহাট টাউন হলের সামনে দীনেশচন্দ্র মজুমদারের একটি অবক্ষ মূর্তি সেটিও কার্যত অনাদরে পড়ে আছে। সম্প্রতি শহিদ দীনেশচন্দ্র মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবং বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে নাগরিক সবার আয়োজন করা হয়। যেখানে শহিদ দিনেশচন্দ্র মজুমদারের স্মৃতিবিজড়িত এই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শহিদ দীনেশ চন্দ্র মজুমদারের বংশধর দিলীপ মজুমদার, বসিরহাট পৌরসভার উপ পৌর প্রধান সুবীর সরকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী অজয় বাহিনী সহ একাধিক শিক্ষক ও অধ্যাপক।
জুলফিকার মোল্যা