যাবতীয় ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে এখন রঙের কাজ চলছে। টানেলের ভিতর ডিভাইডারে রেলিং ও আলো লাগানোর কাজ বাঁকি আছে। আধিকারিকদের আশা খুব শীঘ্রই এই কাজ শেষ করা যাবে। হিডকোর এমডি দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, 'কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত উদ্বোধন করার। কলকাতা শহরে এর আগেও পাতিপুকুর, উল্টোডাঙা, দমদম, ফুলবাগানে টানেল তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি মূলত রেল লাইনের নিচে দিয়ে গাড়ি চলাচলের সুবিধার জন্য। আর নিউ টাউনে বাস রাস্তার নিচে টানেল তৈরি হল যেটা দিয়ে দু-চাকা, চারচাকা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: ২৫ ফুটের মূর্তিতে ১১৭ বছরের বিশ্বাস, রোগ থেকে রেহাই পেতে আজও পুজো হয় হাওড়ায়
এর ফলে বিশ্ববাংলা সরণী থেকে মেজর আর্টেরিয়াল রোড (পূর্ব-পশ্চিমে) চলে যেতে পারবে গাড়িগুলি। ফলে কলকাতা বা সল্টলেকের দিক থেকে এনকেডিএ ভবন, টাটা মেডিক্যাল, গীতাঞ্জলি পার্ক, ইউনিটেক, ফিনান্সিয়াল হাব, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট জেভিয়ার্স, উইপ্রো, ইনফোসিস, সাপুরজি আবাসন যেতে গেলে কোনও ছোট গাড়িকে নারকেল বাগান মোড়ে ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়াতে হবে না। একই সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরগামী চার চাকা গাড়িগুলিও সময় বাঁচিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন: কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও আবার বাড়বে শুষ্কতা! আবহাওয়ার আপডেট জানুন
হিডকো সূত্রে খবর, ৩২০ মিটার দীর্ঘ ও সাত মিটার চওড়া বিশিষ্ট চার লেনের এই টানেল তৈরি করতে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। ভূ-পৃষ্ট থেকে ৪.২ মিটার নিচে এই টানেল তৈরি হয়েছে। তারও চার মিটার নিচেমোট আট মিটার নিচে পথচারীদের জন্য ইতিমধ্যেই সাবওয়ে তৈরি করেছে হিডকো। চলমান সিঁড়ির সুবিধা যুক্ত এই সাবওয়েই কলকাতার সবচেয়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সাবওয়ের দেওয়ালে আঁকা নানান ছবি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
রুদ্র নারায়ণ রায়