শহর জুড়ে চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাফাই অভিযান। অপরদিকে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানো এবং সচেতনতা অভিযান করছেন নিয়মিত। বাড়ির ভিতরে ঢুকে জীবানুনাশক তেল স্প্রে থেকে কোথাও জল জমে আছে কিনা বাড়তি নজরদারি চালিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করছেন। বাড়ির ছাদে বা ফুলের টবে জল জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জঞ্জাল স্তূপাকৃতি করেও যাতে না রাখা হয় সে বিষয়েও নজরদারি করা হচ্ছে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মশারি ব্যবহারেরও প্রচার চালানো হচ্ছে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী থেকে আশা কর্মীদের দিয়ে।
advertisement
পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহার তত্ত্বাবধানে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ধীরাজ নন্দীর নির্দেশে সাফাইকর্মীরা ওয়ার্ড ভিত্তিক জঞ্জাল সাফাই পরিচ্ছন্নতা অভিযান, রাস্তায় ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে সচেতনতা অভিযান থেকে ড্রেনে নর্দমার নালায় গাপ্পি মাছ, সন্ধ্যায় ফগিং মেশিন দিয়ে তেল স্প্রে করার কাজ করছে জোরকদমে। পুরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদীপ ঘোষ জানান, পুরসভা ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া মুক্ত শহর গড়ে তুলতে সর্বত্র বিভিন্ন ভাবে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের ভাইফোঁটা দিলেন বোনেরা
মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ পুরসভার ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে এবং ১৯নং ওয়ার্ডের উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রের দুটিতে বিনামূল্যে রক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে। দু তিন দিনের বেশি জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বিনামূল্যে রক্তের পরীক্ষা ও বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালি পুজোতেও পুরসভার দুটি উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নার্স ল্যাব টেকনিসিয়ান ফার্মাসিস্ট থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিষেবা দিয়েছেন। পুজোর সময় কোন ছুটি নেননি তারা।
আরও পড়ুনঃ কালীপুজোর থিমে সমাজ থেকে বৃদ্ধাশ্রম মুছে যাওয়ার বার্তা
তাই তাদের এই চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানাই ওয়ার্ডের সকল বাসিন্দারা। সকলকেই ছুটির দিনগুলিতে খুব তৎপরতার সঙ্গে পরিষেবা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, কোনভাবেই ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার মত রোগ কে বাড়তে দেওয়া যাবে না এলাকায়। প্রয়োজনে ছুটি অন্য সময়ও নেওয়া যাবে। তাই মানুষ আনন্দ করলেও আমরা প্রকৃত এই মানুষের খেয়াল রেখেছি। এতে আলাদা মানসিক শান্তি রয়েছে।
Rudra Narayan Roy