এবছরই নৈহাটির জাগ্রত বড়মার মন্দিরের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর তাই আজ থেকেই শুরু হচ্ছে নানা বিশেষ অনুষ্ঠান। পুজোপাঠ, মহাযজ্ঞ কর্মসূচি এবং নতুন মন্দিরের দ্বার উদঘাটন কর্মসূচিও রয়েছে বলে জানান মন্দির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। এদিন সুবিশাল শোভাযাত্রা এবং নামকীর্তন সহযোগে বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি নিয়ে আসা হয় নবনির্মিত মন্দির প্রাঙ্গনে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখতেও রাস্তার দু’ ধারে নামে মানুষের ঢল।
advertisement
তবে ২৯ তারিখেই দেখা যাবে নতুন বিগ্রহ। তার আগে ভক্তদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মন্দির কমিটি। এই কয়েক দিন বন্ধ থাকবে মন্দির। ফলে ভক্তরাও পুজো দিতে পারবেন না বলেই জানা গিয়েছে। মায়ের নতুন মূর্তি শুদ্ধিকরণ শেষে তার উদঘাটন হলেই আবার প্রকাশ্যে দেখা মিলবে বড় মা’র। এদিন থেকেই কার্যত উৎসবের চেহারা নিল নৈহাটির অরবিন্দ রোড। মন্দিরের সেবায়েত জানান এতদিন ধরে মার ছবিই পূজিত হত সারা বছর ধরে। নবনির্মিত কষ্টিপাথরের মূর্তি প্রতিস্থাপন হলেও পাশেই রাখা থাকবে সেই চেনা বড় মা’র ছবি।
এদিন থেকেই মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা এবং কলসপুজো রয়েছে। পরবর্তীতে রয়েছে দেবীর অধিবাস পুজো। মহাস্নান শেষে দেবীর স্বর্ণ ও রৌপ্য অলঙ্কার দ্বারা শৃঙ্গার অনুষ্ঠান করা হবে। এর পর হবে দেবীর মূল ঘট স্থাপন। জানা গিয়েছে ২৯ তারিখ বেলা ১২.৫০ মিনিটে মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন বড়মা ঘরে আসার আনন্দে অরবিন্দ রোডের বড়মার মন্দির চত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। নবনির্মিত মন্দির ছাড়াও তৈরি হয়েছে অতিথিনিবাস।
নৈহাটির এই বড় মাকে নিয়ে মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সীমা নেই। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন মায়ের দর্শনে। দেশ দেশান্তরের মানুষ এসে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে যান।