এই নদী দু দেশের মাঝের সীমানারও কাজ করে থাকে বহু অংশে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যথেষ্টই গুরুত্ব রয়েছে ইছামতির। এটি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার আংরাইল থেকে কালাঞ্চি প্রায় ২১ কিলোমিটার, ও গোয়ালপাড়া থেকে কালিন্দী হয়ে রায়মঙ্গল অব্দি বিস্তৃত। বঙ্গোপসাগরে মিলিত হওয়ার আগে পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক সীমানা তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমানে নদীয়ার পাশাপাশি বনগাঁ লোকসভা এবং বসিরহাট লোকসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ইছামতি৷ বসিরহাটের ইটিন্ডা থেকে রায়মঙ্গল পর্যন্ত ইছামতী এখনও বেশ কিছুটা জীবন্ত রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ডিজে, পিকনিক! কাঠগড়ায় স্থানীয় ক্লাব
কিন্তু উৎসস্থল থেকে বাকি অংশ সম্পূর্ণটাই প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থা। সংস্কারের কাজ শুরু হলেও, তা খুব একটা ফলপ্রসু হয়নি। ইছামতি নামের নতুন জেলা প্রসঙ্গে বনগাঁর এক স্থানীয় বাসিন্দা বিমল মজুমদার জানান, 'একটি নদীর নামে জেলার নাম। আমাদের নতুন জেলা কি এতটাই মৃতপ্রায়, এই নদীর মতো। বনগাঁর কোনও সচেতন ব্যক্তিই এটা মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।অপর এক বনগাঁর বাসিন্দা মিলন দাস জানান, নতুন জেলার নাম হোক বনগাঁ। আর বর্তমান সময়ে যখন অর্থনৈতিকভাবে রাজ্য এবং কেন্দ্র অনেকটাই বিপন্ন, ঠিক সেই সময় সাতটি জেলা করে আরও অনেকটা দেশকে পিছিয়ে দিয়ে লাভ কি ?
আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যের দর্শন থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা! সমস্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও
যদি শেষ পর্যন্ত বনগাঁ নতুন জেলা হয়ই, তবে পুলিশ জেলার মতো নাম হোক বনগাঁ জেলা৷ বিষয়টি নিয়ে সহমতও পোষণ করলেন আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন। তবে বনগাঁ স্টেশনে নতুন জেলার নামকরণের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, অনেকেই বললেন বনগাঁ নামের থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এই ইছামতী নাম অনেকটাই ভালো হয়েছে।
বনগাঁর বুক দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতি। সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই নদীটিকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। প্রশাসনিক দিক সহ অন্যান্য বিষয়গুলিতে আর আমাদের অনেক দূরে ছুটে যেতে হবে না। এখন এখানেই সব সুবিধা মিলবে, তাতে বনগাঁর মানুষ খুশি বলেও জানান বনগাঁর আরেক অংশের মানুষজন। নাম ঘোষণা হলেও প্রশাসনিকভাবে এখনো শুরু হয়নি কাজ। তাই নাম নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত বিস্তীর্ণ এই এলাকার মানুষেরা।
Rudra Narayan Roy