তবে তার মধ্যেই এদিন বছর পঞ্চাশের অশোকনগর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রকাশ শূর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অশোকনগর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে করা হয় স্যানিটাইজেশন, ছেটানো হয় ব্লিচিং পাউডার (North 24 Parganas News)। প্রতি মুহুর্তে বাসিন্দাদের সচেতন করতে চলছে প্রচার। সকলকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মাঝেমধ্যেই জনবহুল এলাকায় চলে পুলিশের নদরদারি। মাস্কবিহীন মানুষদের দেখলেই করানো হচ্ছে করোনা পরীক্ষা। তবুও অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে নিয়ম মানার ক্ষেত্রে উদাসীন জনতা।
advertisement
অশোকনগরের পাশাপাশি হাবড়ায়ও জারি রয়েছে লকডাউন। হাবড়া প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে বাজারঘাট থেকে দোকানপাঠ সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার জয়গাছি সুপার মার্কেটের পাইকারী হাটটিও বন্ধ থাকছে। ইতিমধ্যেই অশোকনগর হাসপাতালকে পুনরায় কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেও ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন রোগী। জেলায় এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২০ জনের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার রায় জানান, "সকলের কাছে আবেদন রাখা হচ্ছে যেন ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। মাস্ক পড়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার অত্যাবশ্যক। পাশাপাশি দূরত্ব বিধি মেনে চলাচল করলে অনেকটাই রোধ করা যাবে করোনা সংক্রমণ। সাবধানে প্রচার চালানো হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে"। কিন্তু এখনও রাস্তায় দেখা মিলছে অসচেতন মানুষজনের। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মাস্ক নেমে যাচ্ছে গলায়। কবে সচেতন হবে মানুষ! সময়ই তার জবাব দেবে।
Rudra Narayan Roy