অশোকনগর কল্যানগড়ে একটা বাড়ির পিছনের দিকের ছোট্ট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে কোনমতে বসবাস মা মহুয়া সেন চক্রবর্তী ও মেয়ে তুলি সেনের। মহুয়া দেবী জানালেন, মেয়ে হওয়ার কারনে তিনি অনেক যন্ত্রনা সহ্য করেছেন। এমনকি স্বামীর সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় মেয়েকে নিয়ে। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে শুরু হয় মহুয়াদেবীর জীবনসংগ্রাম। সঙ্গীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, সবার আগে রেজাল্ট দেখুন News18Bangla.com-এ
সংগীত শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিত মহল থেকে খোঁজ পাওয়া বেশ কয়েকটি বাড়িতে গান শেখাতে শুরু করেন। তাতে যেটুকু রোজগার হয়ে তাতেই চালাতে হয়ে মেয়ের পড়াশুনার খরচ ও সংসার। জেদ ছিল মেয়েরা ফেলনা নয়, পাশে দাঁড়ালে তারাও পুরুষের থেকে যেকোন বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই লক্ষ্য নিয়ে মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু হয়েছিল এক মায়ের লড়াই । মেয়েকে ভর্তি করেন অশোকনগর বানীপীঠ বিদ্যালয়ে। এবছর মাধ্যমিকে ৬৭৪ নম্বর পেয়ে পাশ করে তুলি সেন। এত ভালো রেজাল্টের পরও তুলির আক্ষেপ, যদি মেধা তালিকায় ১০-এর মধ্যে নাম তুলতে পারতাম তবে আরও ভালো হত। এবার তুলির লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে চলা। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে এই মেধাবী ছাত্রী।
আরও পড়ুন: গোটা দেশে গর্বিত হবে বাংলা, সৌজন্যে মালদহের আম! ব্যাপার কী?
মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা এতদিন শুধুই সমালোচনা করেছে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া গেলেও তুলির মা মহুয়া সেন চক্রবর্তী দুখপ্রকাশ করে জানালেন, এত কম উপার্জনে কি মেয়ের ভবিষ্যতের স্বপ্নপুরন করতে পারব । তিনি তুলির উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
প্রতিবেদন-রুদ্র নারায়ণ রায়