এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ, সিআইসি অরবিন্দ মিত্র সহ স্থানীয় কাউন্সিলররা। কাউন্সিলর অন্তরা বিশ্বাস মজুমদারের আগমনীর গানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে মন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা খুঁটি পুতলেন মাটিতে। শঙ্খ, উলুর ধ্বনি, ঢাকের বোল দিয়ে পুজোর সূচনা হল বেশ ধুমধুম করে। কেন এত তড়িঘড়ি করে আগেই করা হল খুঁটিপূজো! তা নিয়ে উদ্যোক্তারা জানালেন, এবছর পেয়ারাবাগান দুর্গাপুজো কমিটির দুর্গোৎসবের থিম রাজমহল। রাজস্থানের রাজমহল ঘরানাকেই ফুটিয়ে তুলতে দেখা যাবে, যা দর্শকদের বিশেষ আকর্ষণ করবে বলে ধারণা শিল্পী রাজু দে-র।
advertisement
আরও পড়ুন-খোরপোষ চেয়ে টাকার দাবি! চরম সিদ্ধান্ত নিল যুবক
আরও পড়ুন-‘সাগরদিঘিতে তৃণমূল জিতলে পেট্রোলের দাম ৫ টাকা কমত,’ দাবি অভিষেকের
মন্ত্রী জানান, মধ্যমগ্রামের বড় পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম উদয়রাজপুর পেয়ারাবাগান পুজোকমিটির এই দুর্গাপূজা। তবে এবছর অনেকটা আগেই তাদের প্রস্তুতি শুরু হল। রামচন্দ্র অকালবোধন করেছিলেন, পেয়ারাবাগানও অনেক আগে থেকে শুরু করল তাদের প্রস্তুতি। সকল দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীর বার্তা তারা যেন এবছর দুর্গোৎসব উপভোগ করে , মধ্যমগ্রামের বড় পুজো গুলো দর্শনের পাশাপাশি এই পুজোও দর্শন করেন। তবে এই সুন্দর মন্ডপ তৈরি করার পিছনে যাদের অবদান রয়েছে, তাদেরকে উদ্দীপনা উৎসাহ দিতেই মন্ত্রীর এই পুজোয় আসা। মহিলা ঢাকিদের ঢাকের তালে, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব ২০২৩ এর শুভ সূচনা হয়ে গেল পেয়ারা বাগানের, তেমনটাই মনে করছেন এলাকার অধিবাসীরা। এখনও পর্যন্ত জেলায় এত আগে খুঁটি পুজো শুরু হতে দেখা যায়নি কোন পুজো কমিটিরই। সেখানে প্রায় সবার আগে খুঁটি পুজো করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করল মধ্যমগ্রাম উদয়রাজপুর পেয়ারা বাগান পুজো কমিটি ।
Rudra Narayan Roy