এ ছাড়া এখানে সেমিনার, প্রদর্শনী, আলোচনা, মেলার আয়োজন করা হবে মাঝে মধ্যেই। তাতে যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করে জৈব চাষ ও উৎপাদিত ফসল সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন, কেনাকাটা করতে পারবেন। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, নিউটাউনে ছ’তলা বিশিষ্ট এই হাট পুরোটাই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তার জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। এখানে লিফট ছাড়াও চলমান সিঁড়ি থাকছে। কেনাকাটা করার জন্য খোলা হবে ১৬টি কাউন্টার। ফসল কেনার সময় ক্রেতার মনে যদি প্রশ্ন জাগে আদৌ ওই ফসল জৈব সাড়ে উৎপাদিত কিনা তা পরীক্ষা করার জন্যও বিশেষ যন্ত্র থাকবে। অর্থাৎ, ক্রেতার ঠকার কোন জায়গাই থাকবে না এখানে।
advertisement
জৈব ফসল ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করবে দফতর। এবং সেই সামগ্রী অথবা খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার জন্য বিশেষ ফুড কোর্ট তৈরি করা হবে জৈব হাটে। রান্না করা খাবার হোম ডেলিভারি করার ব্যবস্থাও থাকছে নিউটাউন ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকায়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে খাবার ডেলিভারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৃষি বিপনন দফতরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। নতুন নতুন পদ্ধতিতে চাষ, উৎপাদিত ফসল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করার জন্য মাঝে মধ্যেই কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে দফতর পক্ষ থেকে। সেই জন্য জৈব হাটে সেমিনার হল তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে গেস্ট হাউস বা অতিথি নিবাস। শহরতলি ছাড়াও উত্তরবঙ্গ কিংবা জঙ্গল মহল থেকে যারা এখানে প্রশিক্ষণের জন্য আসবেন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে নিউ টাউনের জৈব হাটে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন দফতরের সচিব এ সুব্বাইয়া, সুফল বাংলার সিইও কৌশিক সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। শেষ মুহুর্তের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কালীপুজোর আগেই এটি চালু করা সম্ভব হবে, বলেই মনে করছেন কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকেরা।
রুদ্র নারায়ণ রায়






