আরও পড়ুন: অন্য এক পুজো! চোখের দৃষ্টি নেই, মনের চোখ দিয়েই অদ্ভুত সুন্দর প্রতিমার চক্ষুদান
বয়স মাত্র চার, কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শরৎ পল্লীর এলাকার বাসিন্দা সুনয়ন। বাবা সঞ্জয় বিশ্বাস পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মা অঞ্জনা বিশ্বাস নিতান্তই গৃহবধূ। তবে খুদে শিশুর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তার মায়ের অবদান। মাত্র দু’বছর বয়স থেকে সুনয়নকে খাবার সময় বা অবসর সময় গল্প, ছড়া শুনিয়ে তাকে খাওয়াতেন। ইংরেজি থেকে বাংলা বা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাতীয় ফুল, ফল কি সেগুলিও ঠোটস্ত করিয়ে দিতে শুরু করেন মা অঞ্জনা দেবী। প্রতিটা জেলার নাম ও তার সম্বন্ধে বুঝিয়ে দিত মা।
advertisement
আরও পড়ুন: গোবরডাঙ্গা জমিদার বাড়ির ৩১২ বছরের পুজো আজও চালিয়ে যাচ্ছে অষ্টম প্রজন্ম
আজ তার এই মেধা দেখে মুগ্ধ পরিবার ও এলাকার মানুষজন। ছেলের এই প্রতিভা দেখেই মা অঞ্জনা দেবী অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড প্রতিযোগিতায় ছেলের নাম দাখিল করেন। এরপরই ছোট্ট শিশুর এই প্রতিভা দেখে সুনয়নকে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত করেন। শংসাপত্র ও মেডেল তুলে দেওয়া হয় ছোট সুনয়নের হাতে। ছোট্ট খুদের এই সাফল্যে আজ গর্বিত গোটা বিশ্বাস পরিবার সহ পাড়া প্রতিবেশীরাও।
রুদ্র নারায়ণ রায়