একটা সময় লোকের বাড়ির দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট খেলা দেখত জিন্না। সেখান থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু। অভাবী সংসারে জিন্নার ক্রিকেটের হাতেখড়ি গ্রামের রাস্তায় পড়ে থাকা মুচি ডাব নিয়ে। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গ্রামে না আছে ভালো কোচ না ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। টেনিস বলে ভাল খেলেই এলাকার এক ক্রিকেটপ্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। এরপর কোলকাতায় সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাকাডেমিতে ট্রায়াল। তার খেলা দেখে বিনা পয়সায় খেলা শেখাতে রাজি হন কোচেরা।
advertisement
বাড়ি থেকে স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। তবে ক্রিকেটের প্রতি নিখাদ প্যাশন থেকেই সমস্ত প্রতিকূলতা হাসিমুখে আপন করে নিয়েছেন। রাত তিনটের সময় বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরোতেন। তখনও ঘুম ভাঙেনি গোটা গ্রামের। ঘণ্টাখানেক সাইকেল চালিয়ে স্টেশনে গিয়ে প্রথম ট্রেন ধরে কলকাতায় গিয়ে অনুশীলন করেছেন দীর্ঘ বছর। কলকাতার নিজেকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন। ক্লাব ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেছেন।
আরও পড়ুনঃ KKR: লজ্জার হারের পর এখনও প্লে অফে যেতে পারে কেকেআর! কিন্তু কীভাবে? রইল বিস্তারিত তথ্য
অনেক পরিশ্রম করে বর্তমানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেট বোলার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন জিন্না। ক্রিকেটই যে তাঁর জীবন, একমাত্র ভালবাসা। বাবা-মা, দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়েই তাঁর গোটা পৃথিবী। সংসারে যে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। বাড়িতে থাকলে বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মাছ ধরতে যায় জিন্না। জিন্নার ২২ গজের লড়াই হয়ত এখনও সেভাবে প্রচারের আলো পায়নি। ‘গরীবীর’ কাছে হার মেনে কখনই তিনি থেমে যাননি। বুকে জেদ ও চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন জিন্না।
জুলফিকার মোল্যা