১০ বছর বয়সে তার যোগাসন রীতিমতো নজর কেড়েছে যোগা বিশেষজ্ঞদের। বাবা হস্ত শিল্প শ্রমিক। মা নিতান্তই গৃহিণী। রয়েছে এক দিদিও। এবছর সে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। ছোট বোনকে যোগসন নিয়ে ছোটোর থেকেই চর্চা করতে উৎসাহিত করে দিদি। বর্তমানে যোগাসনে ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পৌষালী। আগামী দিনে যোগাসন কে সামনে রেখে ন্যাশনাল এবং আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা রয়েছে তার।
advertisement
আরও পড়ুন - বিধাননগরে স্কুলের বাইরে তুমুল শোরগোল, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁস হল রহস্য!
আরও পড়ুন - জলযন্ত্রণার সিঁদুরে মেঘ! বৃষ্টি হলেই বুক কাঁপে নিউটাউনবাসীর, এবারের বর্ষায় কি বদলাবে ছবি?
দত্তপুকুর কংস বণিক পাড়ার বাসিন্দা, বাবা সঞ্জীব কংসবণিক ও মা শিবানী কংসবণিকের দুই মেয়েকে নিয়ে টানাটানির সংসার। এমন অনেক দিনই যায়, যেদিন আহার অব্দি জোটে না বলে জানালেন শিবানীদেবী।পরিবারের কষ্ট ঘোচাতে পৌষালী চায় যোগাসন নিয়েই কিছু করে দেখাতে। ইতিমধ্যেই যোগাসন নিয়ে বহু জায়গায় অংশগ্রহণ করেছেন ছোট্ট এই মেয়েটি। তবে বহু ক্ষেত্রেই দারিদ্রতাই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পৌষালীর। যোগাসনের জন্য প্রয়োজন হয় পেশিশক্তির।
আর তার জন্য মানতে হয় বিশেষ ডায়েট। সেক্ষেত্রে পৌষালীর পরিবারারে সামর্থে কুলোয় না মেয়ের মুখে প্রয়োজনীয় খাদ্য তুলে দিতে। আর্থিক অনটনের মধ্যে কিভাবে মেয়ে যোগাসন প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবে এখন সেটাই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই বিশ্ব যোগ দিবসের দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন রেখেছে গোটা পরিবার।
রুদ্র নারায়ন রায়