চলতি বছরের শুরুতেই রেলের আধিকারিকরা এই বস্তি উচ্ছেদ করতে এসেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। মঙ্গলবার ফের তাঁরা এলে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকার মানুষ। প্রসঙ্গত রেল নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিল, ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দক্ষিণেশ্বর রেল স্টেশন সংলগ্ন এই বস্তি ফাঁকা করে দিতে হবে। তা না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বসতে উচ্ছেদ করার জন্য অভিযানে নামেন সংশ্লিষ্ট রেল কর্তারা।
advertisement
তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে রেল বস্তি উচ্ছেদের চেষ্টা করায় ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। উল্লেখ্য, এই বস্তির ১৫ জন ছেলে মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এখানে প্রায় ১৫০০ মানুষ বসবাস করেন। বস্তিবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা গত ৫০ বছর ধরে এখানেই বসবাস করছেন। এই অবস্থায় জমি থেকে তুলে দিলে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। দাবি, ভাড়া বাড়িতে বা নিজের বাড়ি তৈরি করে থাকার মত আর্থিক ক্ষমতা তাঁদের নেই। আর তাই এই বস্তি থেকে তুলে দিতে হলে তাঁদের পুনর্বাসন দিতে হবে রেলকে। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তাঁদের জমি জবরদখল করে ওখানে বস্তি গড়ে উঠেছে। তাই কাউকে পুনর্বাসন দিতে বাধ্য নন। দু'পক্ষের এই বিবাদের জেরে রেলের এই গুরুত্বপূর্ণ জমিটি নিয়ে কোনও সুষ্ঠু সমাধান বেরিয়ে আসছে না।
অরুণ ঘোষ