স্কুলই তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি শেখায় সামাজিক নানা নিয়ম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একজন শিক্ষককে বলা হয়ে থাকে মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই শিক্ষকরাই যদি ভুল পথ দেখান তাহলে! বাগদার ঘটনা সামনে আসতেই এখন এ ধরনের নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: হুমকি চিঠি নিয়ে বিচারকের কাছেই মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের রামনগর কলোনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীরণ বালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তিনি এই মুহুর্তেবাগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিভাবকদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরেই নানা ভাবে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিলেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেন। কয়েকজন ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবও দেন। ছাত্রীরা বাড়িতে জানালে, অভিভাবকেরা স্কুল কমিটির সম্পাদককে বিষয়টি জানান। অভিযুক্ত সমীরণ বালা ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন না বলায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা উৎসাহ ভাতা, চমকে দিল নবান্ন! আশাকর্মীদের জন্য বিরাট ঘোষণা
এদিন, আবারও ফের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গোপনে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ও কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। তবে ছাত্রীটি চিৎকার করে কোনও রকমে স্কুল থেকে পালায়। পরে বাড়িতে এসে অভিভাবকদের পুরো ঘটনার কথা খুলে বললে, অভিভাবকেরা স্কুল খুলতেই প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজিত গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করে ক্লাসরুমে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে, বাগদা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গ্রামবাসীদেরও দাবি, ওই শিক্ষক আগেও ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। সতর্কও করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তারপরও বদলায়নি শিক্ষকের এই স্বভাব। অভিযুক্ত শিক্ষকের অবশ্য দাবি, তিনি এমন কিছু করেননি। এলাকার পঞ্চায়েত ও স্কুল কমিটির সদস্য অর্ধেন্দু বিশ্বাস জানান, আগেও ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সংশোধন হয়নি। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে।
রুদ্র নারায়ণ রায়