জানা যায়, ২০১১ সালে শ্রীচৈতন্য কলেজে এনসিসি করার সুবাদে, ৪ দিনের পুরুলিয়ায় রক ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষণের কোর্স করতে যাওয়া থেকে শুরু এই পথ চলা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে পাহাড়ের প্রতি জন্মায় ভালবাসা, টান। তাই আবারও ২০১২ সালে অ্যা যডভান্স কোর্স তারপর দার্জিলিংয়ের মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে পাহাড় চড়ার দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নিয়ে লক্ষ্মীর শুরু হয় পাহাড় যাত্রা। পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা সবাই যেন লক্ষ্মীর পাশে থেকে মানসিক শক্তি যুগিয়েছেন তাঁকে। সাধারণ ঘরের এই মেয়ের সাফল্যে যেন আজ তাঁরাও উচ্ছ্বসিত।
advertisement
জেদ করেই আফ্রিকার তানজানিয়ায় পাহাড় জয়ের যাত্রা নিয়ে হঠাৎই বাড়ি থেকে রওনা দেন বছর ৩২-এর লক্ষী ঘোষ। তেমনভাবে প্রস্তুতি না থাকলেও, শরীরচর্চা ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি নিজের মধ্যেই তৈরি করতে থাকেন বাঙালি এই মেয়ে। আজ পাহাড় জয় করে ফিরে যেন সাফল্যের হাসি লক্ষীর মুখে। এবার লক্ষ্য এভারেস্ট। পাহাড় জয়ের নেশা যেন আরও চেপে বসছে এই মেয়ের চোখে মুখে।
মা সীমা ঘোষ চাইছেন মেয়ের পাহাড় জয়ের সব ইচ্ছা পূরণ হোক। লক্ষীর সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও। মেয়ে পাহাড় জয় যাওয়ার পর থেকেই কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ছিলেন মা, এদিন মেয়ে ঘরে ফেরায় যেন চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। আগামী দিনে আরও সফল হোক লক্ষ্মী চাইছেন প্রতিবেশীর থেকে এলাকাবাসীরা সকলেই। অনেকেই আজ লক্ষীকে দেখার জন্য আসছেন বাড়িতে, শুনছেন পাহাড় জয়ের অভিজ্ঞতার গল্প।
Rudra Narayan Roy