বিখ্যাত বাংলা ছবি 'ধন্যি মেয়ে'-র কালজয়ী গান "সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল"-এর কথা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে গুমার বিপাশা। তার পায়ের জাদুতে ইতিমধ্যেই মজেছেন দেশের নামকরা তারকা ফুটবলাররা। এবার সারা বিশ্বের নজরে ফুটবল জাগলিং করে জেলার পাশাপাশি রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছে সে। এবার তার ফুটবল জাগলিংয়ের জাদু তুলে ধরেছেন কাতার বিশ্বকাপের প্রোমো ভিডিওতে।
advertisement
বিপাশার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঁচ বছর বয়স থেকেই খেলাধুলা পছন্দ ছিল তার। তখন থেকেই সব ভালোবাসা গড়ে ওঠে ফুটবলকে ঘিরে। পরিবার বলতে বাবা, মা। আর তাদের একমাত্রই মেয়ে বিপাশা। বাবার কিনে দেওয়া বল নিয়েই ছোট বেলা থেকে শুরু মাথায় ব্যালেন্স করে বল ধরে রাখার চেষ্টা। আর সেখান থেকেই শুরু বিপাশার ফুটবল জাগলার হওয়ার স্বপ্ন।
আরও পড়ুনঃ কাতারে বিশ্বকাপ জিতবে কোন দেশ, উত্তর মিলল বিজ্ঞানীদের গবেষণায়
কিন্তু প্রয়োজন ছিল সঠিক প্রশিক্ষণের, তখনই বিপাশার যোগাযোগ হয় ফুটবলার সুব্রত রায় সঙ্গে। তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। এখনও তার কাছেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিপাশা। শিখছেন ফুটবল জাগলিং এর নতুন নতুন কৌশল। ইতিমধ্যেই ফুটবল জাগলার হিসাবে অনেক সম্মানও পেয়েছে বিপাশা। কলকাতা মাঠ সহ বড়বড় ফুটবল টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ আসে অতিথি হিসাবে। খেলার উদ্বোধন হয় বিপাশার ফুটবল জাগলিং দিয়েই। কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালে বিপাশা ফুটবল জাগলিং ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসেরও নজর কাড়ে। ভারতের তারকা ফুটবলার সুনীল ছেত্রী নিজে বিপাশাকে আমন্ত্রণ জানান সাক্ষাৎ করার।
আরও পড়ুনঃ ফুটবল বিশ্বকাপের একগুচ্ছ এমন রেকর্ড, যা অনেকের কাছেই অজানা
বিপাশা যে ধরনে জাগলিং করে তা ভারতবর্ষে আর কেউ করে না বলেই দাবি তার প্রশিক্ষক সুব্রত রায় এর। সামর্থ্য না থাকায়, আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই কোলবালিশ, গাড়ির টায়ার, কাঠের চেয়ার ব্যবহার করেই চলে নানা জাগলিং কৌশল শেখার কাজ। যা দেখলে অবাক হয়ে থাকতে হয়। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে ঘরের মেয়ে বিপাশা কে দেখতে পেয়ে গর্বিত শুধু গুমা নয়, পুরো বাংলা, গোটা দেশ।
Rudra Narayan Roy