গোবরডাঙায় অনেক নাটকের দল রয়েছে যারা সমাজের পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের নিয়ে নাটক করে সাড়া ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাদের মধ্যে রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা, চিরন্তন নাট্য গোষ্ঠী বা স্বপ্নচর নাট্য সংস্থা সহ রয়েছে বেশকিছু সংস্থা। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ছেলেমেয়েদের জন্য খুলে দিয়েছে প্রতিভা প্রকাশের এক নবতম মঞ্চ। তার মধ্যে অন্যতম, গোবরডাঙা পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা। ১৯৯৫ সালে অখিলপল্লির আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নাটক শুরু করেছিলেন সংস্থার দায়িত্বে থাকা বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য(North 24 Parganas News)। মাত্র ১৫ জন স্কুলছুট শিশুকে নিয়ে তৈরি নাট্য সংস্থায় আজ চল্লিশটি ছেলে এবং পনেরোটি মেয়ে নাট্যচর্চার তালিম নিচ্ছে। সংস্কার নামকরা নাটক গুলির মধ্যে রয়েছে 'এ কেমন আগমনী', 'ভীষ্মের শরশয্যা', 'আবহমান' সহ একাধিক নাটক। শিশুদের এই নাটক বহু পুরস্কার জিতেছে বলেই জানালেন সংস্থার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ত্রিপুরা, আসাম, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দিল্লি ও বাংলাদেশে নাটক করতে গেছে শিশুরা।
advertisement
১৯৯৭ সালের ১৫ অগাস্ট গোবরডাঙা চিরন্তন নাট্যদলের জন্ম হয় (North 24 Parganas News)। প্রথমে শুরু হয়েছিল বড়দের নাটক দিয়ে, বর্তমানে এই নাট্যদল আদিবাসী অধ্যুষিত সরদারপাড়া ও দাসপাড়ার শিশুদের নিয়ে নাট্যনির্মাণ করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় পঁচিশটা নাটক করেছে। 'যতীনের জুতো নাটকে' একাধিক পুরস্কার এসেছে বলে জানালেন সংস্থার কর্ণধার অজয় দাস। সমাজের পিছিয়ে পড়াদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে গোবরডাঙা স্বপ্নচর। ২০০০ সালের ৯ জুলাই, ‘হারানো প্রভাত’ নাটক অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এই নাট্য সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা। মূলত স্টেশন লাগোয়া রেলবস্তি এলাকায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করে তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নাটকে শিশুরা অভিনয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাদের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা ‘একুশের ডায়েরি’, ‘হাঁড়িকুড়ি ডট কম’, ‘অরাজনৈতিক’, ‘টনটুনিলো’, ‘গন্ধভূতের কিস্যা’, ‘গোগোল যখন একা’ সহ আরো অন্যান্য। এভাবেই প্রাচীন ঐতিহ্যের শহরে নাট্যচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন নাট্য প্রেমীরা। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরও এই নাট্য চর্চায় উৎসাহিত করছেন।
Rudra Narayan Roy