আজও বাঙালি দোকানে দোকানে পয়লা বৈশাখের দিন হালখাতা হয়। কিন্তু সেখানে লাল খেরোর খাতা বা বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রচলন ক্রমশই কমছে। এর পিছনে ডিজিটাল যুগকে দায়ী করছেন অনেকে। বর্তমানে স্মার্টফোনে যাবতীয় ক্যালেন্ডার দেখে নেওয়া যায়। ফলে আগের মত বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে ক্যালেন্ডার ঝোলার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। আর সেই কারণেই হালখাতায় বাংলা ক্যালেন্ডার দেওয়ার প্রচলন আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের দোকানের উপর উল্টে গেল ১৪ চাকার পণ্যবাহী গাড়ি
তবে হাতে গোনা কিছু জায়গায় এখনও পুরনো রীতি বজায় রেখেই দেওয়া হয় নতুন ছাপা বাংলা ক্যালেন্ডার। আর এই ক্যালেন্ডার ছাপানোর জন্য বহু যুগ ধরে ভিন রাজ্যের কর্মীরা বাংলায় আসেন। যদিও তাঁদের চাহিদা আগে থেকে অনেকটাই কমেছে। জেলার বুকে হাতে গোনা যে কয়েকটি জায়গায় ক্যালেন্ডার তৈরি হয় তার মধ্যে অন্যতম হাবড়ার পোস্ট অফিস রোডের ছাপাখানা।
এক সময় পয়লা বৈশাখের আগে এই ছাপাখানায় দম ফেলার ফুসরত মিলত না। বিপুল সংখ্যক ক্যালেন্ডারের বরাত থাকত। এই কাজে বিশেষভাবে দক্ষ ভিন রাজ্যের কর্মীরা আসতেন। কিন্তু বর্তমানে পয়লা বৈশাখের আগে বাংলা ক্যালেন্ডারের অর্ডার প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আগামী দিনে আদৌ আর ভিন রাজ্যের কর্মীরা এই অল্প সংখ্যক ক্যালেন্ডার ছাপাতে বাংলায় আসবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে ডিজিটাল যুগের হাত ধরে অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে বাঙালির ক্যালেন্ডার ছাপা শিল্প।
রুদ্রনারায়ণ রায়