স্বরূপনগর থানার পুলিশ আধিকারিক গিয়ে ওই দুটি শিশুকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, একজনের নাম নঈম কলু, বয়স সাত বছর এবং আরেক জনের শিশুর নাম মোস্তাকিন কলু, বয়স পাঁচ বছর। তাদেরকে জেরা করেই পুলিশের হাতে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: আগামী সোম-মঙ্গলের জন্য সম্পূর্ণ বদলে যাবে কলকাতা, সিত্রাং নিয়ে তুমুল সতর্কতা
advertisement
পুলিশ জানতে পারে, ওই দুই শিশুর বাবা নাজিম কলু, মোটা টাকার বিনিময়ে নিজের দুই শিশুকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে সীমান্তে ঘোরাঘুরি করছিলেন। কিন্তু শিশু দুটি তার হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় সে সীমান্তেই গোপন আস্তানায় গা ঢাকা দেয়। পরে, পুলিশ তদন্তে নেমে সেই গোপন আস্তানা থেকে নাজিম কলুকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: জেলে অনুব্রত, মুক্তি কামনায় বীরভূমে তৃণমূল মহিলা ব্রিগেডের অভাবনীয় পদক্ষেপ
বর্তমানে ওই দুই শিশুকে সল্টলেকে হোমে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত নাজিম কে জেরা করে মূল পান্ডা ভাদুরিয়ার কৈজুরী সীমান্তের বছর ৩৫ এর যুবক লালটু মন্ডল এর নাম উঠে আসে। ততক্ষনে, ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। শিশু পাচারের এই ঘটনা নিয়ে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক নড়েচড়ে বসে। এরপরই পুলিশ লালটু মন্ডল এর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানতে পারে মুম্বইতে আছেন এই পাচার চক্রের অন্যতম মূল পান্ডা। যোগাযোগ করাহয় মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে লালটু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। আজ তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়, পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে। তাকে জেরার পরই জানা যাবে কীভাবে এই চক্র বেড়ে চলেছে রাজ্যে, কারা কারা এর পেছনে রয়েছেন, তারও তদন্ত করবে পুলিশ।
------রুদ্র নারায়ন রায়