সূর্যোদয়ের আগেই স্নান সেরে ফেলতে হয়। সারাদিন নীরম্বু উপবাস রাখা হয়। মহাভারতে ছটের সূত্র পাওয়া যায়। সূর্যপুত্র কর্ণের সূর্য উপাসনা থেকে এই রীতির প্রচলন বলেও অনেকে মনে করেন। আবার অনেকের মতে, ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফেরেন ফিরে তিনি ও সীতা দুজনেই সূর্য দেবতার তপস্যায় উপবাস করেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! মর্মান্তিক মোরবিতে বিজেপি সাংসদের গোটা পরিবার শেষ, ১২ সদস্যের মৃত্যু!
advertisement
ছটব্রতীরা তাই শেষ দিনেও গঙ্গায় গিয়ে পুজোর মাধ্যমে নিজেদের অর্ঘ্য নিবেদন করছেন। জেলার বিভিন্ন পুকুর ও ঢিলেও ব্রত পালনে ভিড় করেছেন মহিলারা। প্রথম দিন স্নানের পরে লাউয়ের তরকারি ছোলার ডাল পায়েস রান্না করা হয় একটা গোটা কলার কাঁদি উৎসর্গ করা হয় সূর্যদেবকে। দ্বিতীয় দিনে গুড়ের পায়েস ও পুড়ি নিবেদন করেন অনেকেই তারপর উপশীরা নিয়ম ভঙ্গ করেন। তৃতীয় দিন হল কঠিনতম দিন। এই দিন খাদ্য ও জল ছাড়া উপবাস করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা দিল গুজরাত! রাজ্যের ঝুলন্ত ব্রিজ, উড়ালপুলগুলি নিয়ে তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব নবান্নের
এমনকী নিজের থুতুও গেলা যায় না। চতুর্থ দিন সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা সরে অবশেষে এই ব্রতের সমাপ্তি হয়। যদিও এখন ছট পুজোর উদযাপন শুধু অবাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে। এই পুজো হিন্দু বর্ষপঞ্জিকার কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত হয়। জেলার বিভিন্ন ঘাটে মিষ্টার সঙ্গে এই রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে স্নান করতে দেখা গেল অগণিত ভক্তদের।
রুদ্র নারায়ণ রায়