আরও পড়ুনঃ কর্মে মহান ভারত! ইসরোর শিবনের চার বছর আগের কান্না বদলে গেল চাওড়া হাসিতে
জানা যায়, শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ থেকে লেন্ডিং, গোটা যাত্রা পথে সফটওয়ার প্রোগ্রামিং-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতের চাঁদ জয়ের মিশনে দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরুতে বসে যে টিম এই কাজ করছে, সেই টিমকেই লিড করেছেন নিউ টাউনের বাসিন্দা কৃতী এই বাঙালি সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৩৯ বছরের সৌম্যজিৎকে পাশে থেকে মানসিক শক্তি ও ভরসা জুগিয়েছেন স্ত্রী সুপর্ণা বলেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। আর দূরে হলেও, নিউটাউনের সি ই ব্লকে বসে ছেলেকে এগিয়ে যাওয়ার শুভকামনা জানিয়েছেন বাবা-মা।
advertisement
সৌম্যজিতের বাবা দেবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, “এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। চাঁদে সফল ল্যান্ডিং এর পর পিকু ফোন করে কেঁদে ফেলল। বলল, বাবা আমরা পেরেছি। এটা গোটা বিশ্বের জয়। চাঁদের অজানা বহু তথ্য এবার সকলে জানতে পারবে।” আনন্দে এদিন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মিষ্টি বিতরণও করা হয়। প্রতিবেশীরাও সৌমজিৎকে নিয়ে গর্ব অনুভব করছেন পাশাপাশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল ছেলের বিশেষ আকর্ষণ। এরপর, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি টেক পড়ার সময়েই ইসরোয় পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফল করেন সৌম্যজিৎ। ২০০৭ সালে ইসরোর বেঙ্গালুরু অফিস থেকে ডাক আসে। তখন থেকেই টানা ১৬ বছর ইসরোর ইউ আর স্যাটেলাইট কেন্দ্রে কর্মরত বাবা মা-র আদরের পিকু। এর আগে ২০১৪ সালে সৌমজিৎ মঙ্গল মিশনের কোর কমিটিতে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ এর চন্দ্রযান টু অভিযানেও বড় দায়িত্ব সামলেছিলেন নিউটাউনের এই কৃতী সন্তান।
সল্টলেকের অরবিন্দ ইন্সটিটিউশন অফ এডুকেশন থেকে আইসিএসই পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে প্রথম হন সৌমজিৎ। অন্য অনেক চাকরির সুযোগ আসলেও, মহাকাশের আকর্ষণে ইসরোতেই টেনে রেখেছে সৌমজিৎকে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের সফল লেন্ডিং এর পর এবার অজানাকে জানার খোঁজে, কাজ চালিয়ে যেতে চান সৌমজিৎ। আগামী দিনে আরও বড় কোন মিশনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে সৌমজিৎ-এর বলেই জানালেন নিউটনের চট্টোপাধ্যায় পরিবার।
Rudra Narayan Roy






