TRENDING:

Chandrayaan 3 Successful Landing: "বাবা-মা আমরা পেরেছি"! চাঁদ ছোঁয়ায় কেঁদে ফেললেন ইসরোয় কর্মরত নিউটাউনের সৌম্যজিৎ

Last Updated:

Chandrayaan 3 Successful Landing: দেশের হয়ে চন্দ্রঅভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে ছেলে পিকু ওরফে সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা: ছোটবেলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ-তাঁরা দেখে মা-কে পিকু করতেন নানান প্রশ্ন। মহাকাশ নিয়ে ছোটবেলা থেকেই তাঁর ছিল নানান কৌতূহল। তবে ছেলের সেই কৌতূহলের এভাবে স্বীকৃতি মিলবে তা হয়তো ভাবতেও পারেননি বাবা-মা। দেশের হয়ে চন্দ্রঅভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে ছেলে পিকু ওরফে সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তা এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না বর্তমানে নিউটাউন-এর বাসিন্দা বাবা দেবদাস চট্টোপাধ্যায় ও মা নন্দিতা চট্টোপাধ্যায়-এর। ছেলে সৌমজিৎ-এর জন্য আজ যেন গর্ব অনুভব করছে গোটা নিউ টাউনও। পাশাপাশি, এক সময়ের বাসস্থান বীরভূমের সিউড়ি ব্লকের রায়পুর গ্রামের মানুষেরাও আজ তাঁদের গ্রামের ছেলের জন্য গর্বিত।
সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়
সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়
advertisement

আরও পড়ুনঃ কর্মে মহান ভারত! ইসরোর শিবনের চার বছর আগের কান্না বদলে গেল চাওড়া হাসিতে

জানা যায়, শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ থেকে লেন্ডিং, গোটা যাত্রা পথে সফটওয়ার প্রোগ্রামিং-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতের চাঁদ জয়ের মিশনে দীর্ঘদিন বেঙ্গালুরুতে বসে যে টিম এই কাজ করছে, সেই টিমকেই লিড করেছেন নিউ টাউনের বাসিন্দা কৃতী এই বাঙালি সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৩৯ বছরের সৌম্যজিৎকে পাশে থেকে মানসিক শক্তি ও ভরসা জুগিয়েছেন স্ত্রী সুপর্ণা বলেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে। আর দূরে হলেও, নিউটাউনের সি ই ব্লকে বসে ছেলেকে এগিয়ে যাওয়ার শুভকামনা জানিয়েছেন বাবা-মা।

advertisement

সৌম্যজিতের বাবা দেবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, “এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। চাঁদে সফল ল্যান্ডিং এর পর পিকু ফোন করে কেঁদে ফেলল। বলল, বাবা আমরা পেরেছি। এটা গোটা বিশ্বের জয়। চাঁদের অজানা বহু তথ্য এবার সকলে জানতে পারবে।” আনন্দে এদিন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মিষ্টি বিতরণও করা হয়। প্রতিবেশীরাও সৌমজিৎকে নিয়ে গর্ব অনুভব করছেন পাশাপাশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

advertisement

View More

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ছিল ছেলের বিশেষ আকর্ষণ। এরপর, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি টেক পড়ার সময়েই ইসরোয় পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফল করেন সৌম্যজিৎ। ২০০৭ সালে ইসরোর বেঙ্গালুরু অফিস থেকে ডাক আসে। তখন থেকেই টানা ১৬ বছর ইসরোর ইউ আর স্যাটেলাইট কেন্দ্রে কর্মরত বাবা মা-র আদরের পিকু। এর আগে ২০১৪ সালে সৌমজিৎ মঙ্গল মিশনের কোর কমিটিতে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ এর চন্দ্রযান টু অভিযানেও বড় দায়িত্ব সামলেছিলেন নিউটাউনের এই কৃতী সন্তান।

advertisement

সল্টলেকের অরবিন্দ ইন্সটিটিউশন অফ এডুকেশন থেকে আইসিএসই পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে প্রথম হন সৌমজিৎ। অন্য অনেক চাকরির সুযোগ আসলেও, মহাকাশের আকর্ষণে ইসরোতেই টেনে রেখেছে সৌমজিৎকে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের সফল লেন্ডিং এর পর এবার অজানাকে জানার খোঁজে, কাজ চালিয়ে যেতে চান সৌমজিৎ। আগামী দিনে আরও বড় কোন মিশনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে সৌমজিৎ-এর বলেই জানালেন নিউটনের চট্টোপাধ্যায় পরিবার।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১৭ রাজ্য পাড়ি দিয়ে শান্তির বার্তা — স্কুটিতে একা অভিযানে বর্ধমানের শিক্ষিকা
আরও দেখুন

Rudra Narayan Roy

বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
Chandrayaan 3 Successful Landing: "বাবা-মা আমরা পেরেছি"! চাঁদ ছোঁয়ায় কেঁদে ফেললেন ইসরোয় কর্মরত নিউটাউনের সৌম্যজিৎ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল