এবছর বারুনী মেলা উপলক্ষ্যে রেল দফতর থেকে স্পেশাল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে ১৫টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়িতে নামে ভক্তদের ঢল(North 24 Parganas News)। ডঙ্কা, কাশর, নিশান নিয়ে তাদের মেতে উঠতে দেখা যায়। এদিন প্রখর রোদেও, কামনা সাগরের জলে স্নান করে বহু ভক্তকে দন্ডী কেটে ঠাকুর বাড়ির মূল মন্দির অবধি রাস্তা দিয়ে গড়িয়ে যেতেও দেখা যায়। ঠাকুর বাড়ির পক্ষ থেকে ভোগ প্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে। নাট মন্দিরে বসেই চলছে মতুয়া ভক্তের আরাধনা। তার পাশেই ব্যাবস্থা করা হয়েছে আগত বিপুল পরিমাণ ভক্তদের ভোগ প্রসাদ খাওয়ার।
advertisement
ইতি মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে শুরু হয়েছে মেলা। তবে অতীতে বারুনী মেলা নিয়ে শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এবার সেটাও দূর হয়েছে(North 24 Parganas News)। দুই পরিবার একসাথে হয়ে মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি, দুই পৃথক মতুয়া সংগঠন এবার মিলেমিশে করতে চলেছেন এই ঐতিহ্যবাহী বারুনী মেলা। অনুমান করা হচ্ছে, এবছর বারুনী মেলায় রেকর্ড ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মেলায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন ঠাকুরনগরে।
আন্দামান-নিকোবর থেকে মতুয়া ভক্তদের যাতে আসতে কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই প্রথমবার অতিরিক্ত জাহাজের ব্যবস্থা করেছেন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রাতে আলোর রোশনাই সেজে উঠেছে ঠাকুরনগরের মূল মন্দির। নিরাপত্তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বারুনী মেলাকে কেন্দ্র করে। সংঘের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, সারা রাত ধরেই চলবে কামনা সাগরের পুণ্যস্নান। মেলার ব্যবস্থাপনার দিকে সব সময় নজর রেখে চলেছেন ঠাকুর বাড়ির সদস্যরা। ভেদাভেদ ভুলে বারুনী মেলা যেন হয়ে উঠেছে সকল ধর্ম সমন্বয়ের মেলা।
Rudra Narayan Roy