বারাসত অ্যাসোসিয়েশন ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল ইলিশ উৎসবের। চেটেপুটে এই ইলিশ উৎসবের আয় উদ্যোক্তা ছিলেন পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা ডঃ সুমিত কুমার সাহা, সহযোগিতায় পুরপ্রাধান অশনি মুখার্জি সহ অন্যান্য পৌর প্রতিনিধিরা। রবিবারের এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে টিকিট ধার্য্য করা হয় ৫০০ টাকা জন প্রতি। ঠিকঠাক ভাবেই শুরু হয় উৎসব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
advertisement
আরও পড়ুন, গুজরাতে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে মুখ্যমন্ত্রী কে? জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ
আরও পড়ুন, চার বছরে অনুব্রত, সুকন্যাদের অ্যাকাউন্টে জমা প্রায় ১৭ কোটি! বিপুল টাকার উৎস কী, খুঁজছে সিবিআই
ইলিশ উৎসবে আসা মানুষজন ইলিশের মজা নেওয়া শুরু করলেও, ধীরে ধীরে ইলিশ খেতে আসা ভোজন রসিক মানুষ তুলতে থাকেন নানা অভিযোগ। ঠিকমতো খাবার পরিবেশন করা থেকে, ইলিশ উৎসবে এসে ইলিশেরই দেখা পেলেন না অনেকে। এমনটাই অভিযোগ উৎসবে আসা মানুষদের। টিকিট বিক্রির সময় যে ভাবে ইলিশের নানা মেনু পরিবেশন করার কথা দেওয়া হয়েছিল, তা বিন্দুমাত্র পালন করা হয়নি বলেও অভিযোগ। ইলিশ খাবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলেও খাবার মেলেনি।
এরপরই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইলিশ উৎসবে আসা মানুষজন। চেটেপুটের বদলে, খালি পেটেই বাড়ি যেতে হল বেশ কয়েকজনকে। কয়েকদিন ধরেই ইলিশ উৎসব ঘিরে জেলা সদর শহর বারাসাতে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। নানান শিল্পীদের দিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান থেকে ইলিশের হরেক মেনুর প্রচার করা হলেও শেষমেশ তা বাস্তবায়ন হল না। ফলে টাকা দিয়ে ইলিশ উৎসবে এসে অনেকের প্লেটেই অধরা থেকে গেল ইলিশ। অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
রুদ্র নারায়ন রায়





