তারপর থেকে সে একাই থাকতো সুখচর টিএন ব্যানার্জি রোডের অরুনিমা অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাটে। তার কাকার ফ্ল্যাটও, ওই একই অ্যাপার্টমেন্টে। জানা যায়, হঠাৎ করেই দেবাশীষ ব্যানার্জি তার ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেন। তারপরে কাকা এবং কাকিমাকে বলেন, আমি ব্যারাকপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছি পুজোর পরে তোমাদেরকে নিয়ে যাব। এরমধ্যে কাকা কাকিমাকে বলেন বাড়িতে আর একা থাকতে ভালো লাগছে না, তাই আমি ঠাকুর দেখে আসি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাড়ির মালিক ঘুরতে গিয়েছেন শশুর বাড়ি, সুযোগ বুঝেই ঘর ফাঁকা করল দুষ্কৃতীরা!
কাকার বাড়িতে দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন খাওয়া দাওয়া করে। নবমী দিনের পর থেকে দেবাশীষ ব্যানার্জিকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যতবারই ফোন করা হচ্ছে তার মোবাইলের বলছে সুইচড অফ। শেষ হোয়াটসঅ্যাপ খুলেছেন নবমীর রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। আজ প্রায় নয় দিনের বেশি অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কোন খবর পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকেরা খড়দহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ রেল ব্রীজ পারাপারের সমস্যায় এখনও মেলেনি সমাধান, টিকিট কেটেই রেল লাইন পারাপার!
তবে পরিবারের তরফ থেকে জেলা পুলিশের উপর সেভাবে আর না রাখতে পেরে, এদিন পরিবারের লোকেরা ভবানী ভবনে এবং লালবাজারে যোগাযোগ করবেন বলে জানান। কারণ, সংবাদ মাধ্যমের খবরে পরপর যে ভাবে উঠে আসছে নিখোঁজ থাকার পর মৃতদেহ উদ্ধার করার খবর, তা দেখে আরো দুশ্চিন্তা বাড়ছে পরিবারের। নিখোঁজ ব্যক্তির কাকা শিবশঙ্কর ব্যানার্জি জানান, একটাই দাবি প্রশাসনের কাছে, আমাদের একমাত্র ভাইপো সুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে ফিরে আসুক। বিষয়টি যেন তৎপরতার সঙ্গে একটু দেখা হয়।
Rudra Narayan Roy