কীভাবে বাঙালির এই আইকন তাঁর সিনেমার চিত্রনাট্য সাজাতেন, কীভাবে তাঁর ছবির চরিত্রদের পোষাক নির্বাচিত হবে, কীভাবে সিনেমার প্রতিটি শট ক্যামেরা বন্দী করা হবে, সব কিছুই ছবি এঁকে রাখতেন সত্যজিত রায়। এই ঘরে ঢুকলে সেটাও দেখার সুযোগ রয়েছে সত্যজিতপ্রেমী বা সিনেমা লাভারদের। রয়েছে সত্যজিত রায়ের অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য সৃষ্টি ও লেখা বই। বলা যায়, সত্যজিত রায়ের উপর এত কালেকশান একসঙ্গে আর কোথাও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।
advertisement
ঠিক নীরবে সত্যজিত রায়কে ভালোবেসে এই কাজটি করে ফেলেছেন বারাসতের এক বাঙালি যুবক। বছর ৩০- এর অভীক জ্যোতি বিশ্বাস নিজের ফ্ল্যাটের একটি ঘরেই নিজের মতো করে বানিয়ে ফেলেছেন সত্যজিত রায়কে নিয়ে এক মিনি সংগ্রহশালা।অস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র, চিত্রনাট্য, হাতে আঁকা পোস্টার, সিনেমায় ব্যবহৃত হরেক জিনিসপত্র দিয়ে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হলে, কেমন হয়? এই ভাবনা থেকেই অভীকবাবুর এই সৃষ্টি।
বারাসতের যুবক অভীক জ্যোতি বিশ্বাসের, কালজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রতি যে এক অদ্ভুত অনুভূতি ও ভালোবাসা রয়েছে তা তার কথাতেই স্পষ্ট। বাঙালির সেই স্বর্ণযুগের অতীতকে ফিরে পেতে গেলে একবার অবশ্যই আসতে হবে অভীক জ্যোতি বিশ্বাসের গড়ে তোলা এই স্বর্ণযুগের স্বর্ণ খনিতে।
Rudra Narayan Roy