বিমান ধরার আগে ও পরে যাত্রীদের অনেকটা সময় টার্মিনালে কাটাতে হয়। সেই সময় ধূমপান করার জন্য মন উসখুস করে করে অনেক ধূমপায়ীর। কিন্ত সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এত বিমানবন্দরে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হত তাঁদের। এদিকে নিয়ম ভেঙে যেখানে সেখানে ধূমপান করলেই মোটা টাকা জরিমানা করত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সুরক্ষার বিষয়টিও আছে। তাই এবার ইচ্ছুক বিমানযাত্রীদের সুখটানের ব্যবস্থা করতে বিশেষ ধূমপান এলাকা বা স্মোকিং এরিয়া তৈরি করল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন আগেই এই স্মোকিং এরিয়া চালু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
এর আগেও কলকাতা বিমানবন্দরে স্মোকিং জোন ছিল। সেটা ছিল টেলিফোন বুথের মত ছোট ছোট ব্যক্তিগত চেম্বার। যার দেওয়াল ও সিলিং দুটোই ছিল অপ্রশস্থ। এর ফলে একজন ধূমপান করে বেরিয়ে এলে পরবর্তী জন যখন সেখানে ঢুকতেন, তাঁর মনে হত কোনও গ্যাস চেম্বারে ঢুকেছেন! এ নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ জানাচ্ছিলেন বারবার। সেই বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেও ভাবায়। আর তারপরই ধূমপায়ীদের জন্য এই নতুন আধুনিক ব্যবস্থা করা হল। কী থাকছে নতুন ব্যবস্থায়?
আরও পড়ুন: এক মুঠো চিঁড়ে খাওয়ার জন্য এই মেলায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে সব ধর্মের মানুষ!
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতদিন ধূমপানের জন্য ৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৫ টি ব্যক্তিগত চেম্বার ছিল। তবে পরিবর্তনের পর এখন সিলিংয়ের উচ্চতা বাড়িয়ে ১০ ফুট করা হয়েছে। চেম্বারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। এখন প্রতিটি চেম্বারে আবার একটি করে অ্যাস্ট্রে বা ছাইদানি রাখা থাকছে। সেইসঙ্গে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রতিটি চেম্বারে অত্যাধুনিক গ্যাস নিষ্কাষন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে আগের মত আর সিগারেটের ধোঁয়া জমে থাকবে না চেম্বারগুলিতে। অতীতের ৬৫ বর্গ ফুট জায়গাটি বেড়ে ২৫৮ বর্গ ফুট হয়েছে। এরোব্রিজের ২৫ নম্বর গেটের কাছে এই স্মোকিং এরিয়া তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের নিত্যযাত্রী ব্যবসায়ী সৌমেন রায়চৌধুরী ধূমপায়ীদের জন্য এই নতুন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, "নতুন ব্যবস্থার ফলে যারা ধূমপান করেন তাঁদের যেমন উপকার হবে, তেমনই যারা ধূমপান করেন না তাঁরাও উপকৃত হবেন। আগের মত টার্মিনালে আর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে না।" বিমানবন্দরের এই উদ্যোগে খুশি ধূমপায়ীরা।
রুদ্রনারায়ণ রায়