এই টানাপড়েনের মধ্যে শনিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার একটি দাবি ঘিরে নতুন করে জল ঘোলা শুরু হয়েছে। আপ নেতা তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া একটি ট্যুইট করে দাবি করেন, তাঁর অফিসে আবার তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই যদিও এমন কোনও তল্লাশি অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে। ফলে তল্লাশি আদৌ হয়েছে কি না, তা নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাওড়া ব্রিজের উপরই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরলেন গোয়েন্দারা, যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
রাজধানী দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের মোটা টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগেরই তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ হাজির করে উঠতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। যদিও আম আদমি পার্টির দাবি, রাজনৈতিকভাবে আম আদমি পার্টিকে রুখতে না পেরে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অন্যায়ভাবে কাজে লাগিয়ে আব সরকার এবং তাদের মন্ত্রীদের হেনস্থা করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
শনিবার বিকেলে সিসোদিয়া হিন্দিতে করা টুইটে লেখেন, ‘‘আজ আবার সিবিআই আমার দফতরে পৌঁছেছে। তাঁদের স্বাগত জানাই। সিবিআই আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে, অফিসে অভিযান চালিয়েছে, লকার খুঁজে দেখেছে এমনকি আমার গ্রামে গিয়েও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে না কিছু পাওয়া গিয়েছে, না আগামী দিনে পাওয়া যাবে। কারণ, আমি কিছুই ভুল করিনি। সততার সঙ্গে দিল্লির বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য কাজ করে গিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: ১৭ ঘণ্টা পর শিয়ালদহে পৌঁছল রাজধানী এক্সপ্রেস! কী হয়েছিল ঠিক? কারণ শুনলে শিউরে উঠবেন
অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রের খবর, তাদের একটি দল দিল্লি উপমুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তল্লাশি চালাতে নয়। বরং আবগারি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু নথি আনতে। একে অভিযান বলা যায় না। আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সবুজ সংকেতের পরই সিসোদিয়ার বাড়ি ও অফিসে একাধিকবার তল্লাশি চালায় সিবিআই।
রাজীব চক্রবর্তী