আরও পড়ুন - অগ্নিপথ প্রকল্প ফিরিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই নেই, আন্দোলনকারীদের আস্থা রাখার বার্তা অজিত দোভালের
তবে তাঁর রাজনৈতিক, প্রশাসনিক জীবন শুরু হয় ১৯৯৭ সালে, তিনি পৌর নির্বাচনে জয় পান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসেন। এর পর ১৯৯৭ সালেই বিজেপির রাজ্য আদিবাসী সংগঠনের সহ-সভাপতি হন। সেখান থেকে ২০০২ সালে তিনি যান ওড়িশা সরকারের মৎস দফতরে। তার পর পশুপালন দফতরে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিধায়ক, পাশাপাশি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবহন মন্ত্রীও ছিলেন ওড়িশা সরকারের। এর পর ২০০৬-২০০৯ সালে তিনি সামলান বিজেপির আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব। তিনি সামলেছেন ময়ুরভঞ্জ জেলা সভাপতির দায়িত্বও। এর পর ২০১৫ সালে তিনি বিজেপির আদিবাসী সংগঠনের জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্যপদ লাভ করেন। তার পর ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। সেই দ্রৌপদীকেই এ বার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করছে বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী হতে রাজি, সম্মতি জানালেন যশবন্ত! ধন্যবাদ মমতাকে
প্রযাত বিরাঞ্চী নারায়ণ মুর্মুর কন্যা ও প্রয়াত শ্যামচরণ মুর্মুর স্ত্রী দ্রৌপদীকে এই নির্বাচনে বিজেপি যে মুখ করতে পারে, এমন কথা কয়েকদিন ধরেই রটেছিল। এক দিকে যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে ১৮ দলের বিরোধী গোষ্ঠী। তার মধ্যেই দ্রৌপদীর নাম ঘোষণা করে নতুন এক তরঙ্গ তুলল বিজেপি জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। অনেক দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য় দ্রৌপদীর নির্বাচন। যদি তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হন, তবে তিনিই প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হবেন। হবেন দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। তিনি জিতলে প্রথম কোনও ওড়িশার বাসিন্দা রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। তবে তাঁর এই রেকর্ড ভাঙার ইতিহাস নতুন নয়। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন। সেদিক থেকে দেখলেও তিনি রেকর্ড ভেঙেছেন। ওড়িশায় পিছিয়ে পড়া এক জেলায় শৈশবে তিনি লড়াই করেছেন দারিদ্রের সঙ্গে, ক্ষুধার সঙ্গে। চরম কষ্টের মধ্যেও উচ্চশিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলেছেন। পাশাপাশি তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দীর্ঘকালীন প্রশাসনিক দায়িত্ব সামালনোর অভিজ্ঞতাও।