তিনি দুই দশক ধরে স্নান না করে আছেন। এবং ততদিন করবেন, যতদিন না মহিলাদের উপর অত্যাচার, নিরীহ পশু হত্যা এবং জমি নিয়ে বিবাদ বন্ধ না হয়! বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের মৃত্যুও হয়েছে এই ২২ বছরে। সে সময়েও নিজের কঠোর প্রতিজ্ঞা থেকে সরেননি তিনি। ২২ বছর শরীরে জল ছোঁয়াননি। প্রবল গরমে ঘেমে নেয়ে একসা হলেও না!
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ চিৎকার, কান্নাকাটি, মাটিতে গড়াগড়ি ছাত্রীদের! স্কুলে ঢুকল ভূত! হাড়হিম করা ভুতুড়ে কাণ্ড ভাইরাল
জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের জগদ্দলে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। এর পর সব স্বাভাবিক ছিল। বিয়েও করেন তিনি। কিন্তু ১৯৮৭ সালে হঠাৎ করেই একদিন তিনি উপলব্ধি করেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদ, মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা এবং নিরীহ পশুদের হত্যা বেড়েই চলেছে। এর পর তিনি এর উত্তর খুঁজতে এক গুরুর কাছে যান। সেই গুরু ধর্মদেব রামকে তাঁর শিষ্য করে নেন। এবং সেই গুরুই তাঁকে ত্যাগের পথে চলতে বলেন। তখন থেকেই রামচন্দ্রের ধ্যান করেন ধর্মদেব রাম। এবং বন্ধ করে দেন স্নান।
আরও পড়ুন: ক্লাসের মধ্যেই শিস দিল ছাত্ররা! রাগে সাত ছাত্রের চুল কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষিকা!
প্রথমে খাওয়া দাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কারখানায় কাজ করতেন সে সময়। মালিক জানতে পেরে কারখানার চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেন ধর্মদেবকে। সেই সময় ফের গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। তবে এর পর খাওয়া শুরু করলেও স্নান করেননি এক দিনের জন্যেও। স্ত্রী ও পুত্রের মৃত্যুতেও নয়। ধর্মদেবের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্নান না করলেও কোনও রকম শারীরিক সমস্যা নেই ধর্মদেবের। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চর্চা শুরু হয় বিহারের এই ব্যক্তিকে নিয়ে।