সোমবার সকালে রাজস্থানের বারমের জেলা থেকে এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা পুরো এলাকাকে হতবাক করে দিয়েছে। শিব থানা এলাকার উন্ডু গ্রামের ধাননিওঁ কি ধানিতে একই পরিবারের চার সদস্যর মৃত্যু সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে, তা গণহত্যা বলে অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে শিবলাল গৌর, তাঁর স্ত্রী কবিতা এবং তাঁদের দুই নিষ্পাপ শিশু রয়েছে। সকলের মৃতদেহ বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্লাস ১১-এর ছাত্রকে লাগাতার যৌন নির্যাতন, কাজে লাগালেন ওষুধও! গ্রেফতার নামী স্কুলের শিক্ষিকা
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে, সকাল থেকে পরিবারের সদস্যদের বাইরে দেখা না যাওয়ায় তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাঁরা যখন বাড়িতে গিয়ে দেখেন, তখন ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্দেহের বশে ট্যাঙ্কের ভিতরে তাকালে গ্রামবাসীদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। পুরো পরিবারের মৃতদেহ ট্যাঙ্কে পড়ে ছিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়।
কোনও সুইসাইড নোট নেই, কোনও শত্রুতার চিহ্ন নেই –
শিব থানা পুলিশ এবং রামসার সিও মানারাম গর্গ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন। চারটি মৃতদেহ ট্যাঙ্ক থেকে বের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিকভাবে মামলাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে, তবে এর পিছনের কারণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি এবং পরিবারটি কোনও মানসিক বা আর্থিক চাপের মধ্যে ছিল কি না তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার নেপথ্যের সত্যতা প্রকাশের জন্য পুলিশ পরিবারের আত্মীয় এবং গ্রামবাসীদের ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আরও পড়ুন: অফিসের মহিলা বাথরুমে পুরুষ কর্মী, হাতে মোবাইল! তারপরই…৩০টি ভয়াবহ ঘটনার পর বেরিয়ে এল আসল রূপ!
পুলিশ প্রতিটি দিক তদন্ত করছে –
এই ঘটনাটি গ্রামের প্রতিটি মানুষকে নাড়া দিয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যু পরিবেশকে অত্যন্ত থমথমে করে তুলেছে। একসঙ্গে চারজনের এমন রহস্যময় মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গ্রামবাসীদের মতে, পরিবারটি শান্ত প্রকৃতির ছিল এবং কারও সঙ্গে তাদের কোনও শত্রুতা ছিল না। পুলিশ বলছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। বর্তমানে প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত চলছে। একটি পুরো পরিবারকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছিল কি না আগামী দিনে পুলিশ তার রহস্য উদঘাটন করতে পারে।