TRENDING:

Vande Mataram Debate: সংসদে ‘বন্দে মাতরম’.. মোদির নেহরু-জিন্নাহ মন্তব্য থেকে শুরু করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধির ‘ক্রোনোলজি’, টানটান রইল অধিবেশন

Last Updated:

সংসদে প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই স্তোত্র রচনা করেন৷ কিন্তু, ১৯৩৭ সালে তা যখন প্রথম গান হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা থেকে বাদ যায় প্রথম দু’টি ছাড়া বাকি স্তবক৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: শীতকালীন অধিবেশন৷ কিন্তু, ‘বন্দে মাতরম’ ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদ৷ একদিকে, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ অন্যদিকে, সেই নেহরুরই উত্তরসূরী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা বোঝালেন ‘বন্দে মাতরম’-এর জাতীয় গান হয়ে ওঠার ‘ক্রোনোলজি৷’
News18
News18
advertisement

সোমবার সংসদে ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি হিসাবে একটি বিতর্ক আলোচনার ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে৷ সেই আলোচনার উদ্বোধন হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার মাধ্যমেই৷ নিজের বক্তৃতায় ‘বন্দে মাতরম’ গানের মাহাত্ম্য, ভারতীয়দের উপরে এবং ভারতীয় রাজনীতির উপরে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, ‘বন্দে মাতরম’-এর সব ক’টি স্তবক জাতীয় গান হিসাবে ব্যবহার না করাই আদতে ভারতে ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতির’ সূত্রপাত করেছে৷

advertisement

আরও পড়ুন: ‘আমরা বন্দে মাতরম বিতর্ক নিয়ে আলোচনা কেন করছি?,’ সংসদে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা! প্রতিক্রিয়া বিজেপির

সংসদে প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই স্তোত্র রচনা করেন৷ কিন্তু, ১৯৩৭ সালে তা যখন প্রথম গান হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা থেকে বাদ যায় প্রথম দু’টি ছাড়া বাকি স্তবক৷ এ বিষয়ে, ১৯৩৭ সালে লখনউ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা মহম্মদ আলি জিন্না সংক্রান্ত নেহরুর একটি চিঠির উল্লেখ করেন মোদি৷

advertisement

মোদি জানান, ১৯৩৭ সালের ১৫ অক্টোবর প্রথম ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেন মুসলিম লিগের নেতা মহম্মদ আলি জিন্নাহ৷ আর তার ৫ দিন পরে নেহরু নেতাজিকে একটি চিঠিতে লিখে জিন্নাহর হয়েই কথা বলেন৷ জানান, ‘আনন্দমঠ’-এর যা প্রেক্ষাপট, তাতে সংখ্যালঘুরা ক্ষুন্ন হতে পারে৷

মোদি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৩৭ সালের ২৬ অক্টোবর, কংগ্রেস বন্দে মাতরমের সাথে আপস করে , এবং এটিকে টুকরো টুকরো করে দেয়। এই সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতির আড়ালে ঢেকে রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী যে কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে মাথানত করেছিল এবং তাদের চাপে কাজ করে, তুষ্টির রাজনীতি গ্রহণ করে৷’’ এই মাথানত করার থেকে একদিন ভারত ভাগ মেনে নিতে হয়েছিল বলেও এদিন দাবি করেন মোদি৷

advertisement

অন্যদিকে, জওহরলাল নেহরুর উত্তরসূরী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি এদিন এই বিতর্কে অংশ নিতে গিয়ে, বিতর্কের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন৷ বলেন, ‘‘আমরা বন্দে মাতরম নিয়ে এই বিতর্ক কেন করছি? জাতীয় গান নিয়ে কী বিতর্ক থাকতে পারে?’’

কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কার দাবি, এই বিতর্ক আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এই বিতর্কে শামিল হতে হচ্ছে, কারণ, সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন৷’’ কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, সাধারণ মানুষ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত, সে সব নিয়ে সরকার কোনও সমাধান ‘খুঁজে পাচ্ছে না’ বলে দাবি করেন প্রিয়ঙ্কা৷ অভিযোগ করেন, ‘‘আসলে যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, এবং দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের কাঠগড়ায় তুলতে চাইছে শাসকদল৷’’

advertisement

আরও পড়ুন: বৈঠক হচ্ছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না! কেন থমকে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ? প্রশ্ন ক্ষুব্ধ বিচারপতির, দিলেন ডেডলাইন

শুধু তাই নয়, এদিন সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ গানের ‘ক্রোনোলজি’ও তুলে ধরেন প্রিয়ঙ্কা৷ তিনি বলেন, ‘‘বঙ্কিকচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৭৫ সালে গানটির প্রথম দু’টি স্তবক লিখেছিলেন৷ ১৯৮২ সালে যখন তিনি ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাস প্রকাশ করেন, তখন তাতে আরও চারটি স্তবক যোগ করে৷’’

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কলেজ পড়ুয়াদের অভিনব নির্মাণ! ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক আবর্জনা দিয়ে তৈরি সেলফি জোন
আরও দেখুন

প্রিয়ঙ্কা জানান, ১৮৯৬ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কংগ্রেসের একটি অধিবেশনে প্রথমবার গানটি গান৷ প্রিয়ঙ্কা এদিন মোদির উল্লেখ করা নেহরু ও নেতাজির চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিরোধিতা করেন তিনি৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Vande Mataram Debate: সংসদে ‘বন্দে মাতরম’.. মোদির নেহরু-জিন্নাহ মন্তব্য থেকে শুরু করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধির ‘ক্রোনোলজি’, টানটান রইল অধিবেশন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল