গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটি আমেরিকান হিউম্যান সোসাইটি–র আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো জাতীয় মানবিক সংস্থা এবং বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী সুরক্ষা অনুষ্ঠানে অনন্ত আম্বানিকে এই সম্মান প্রদান করে।
এই স্বীকৃতি ঐতিহাসিক। কারণ তিনি এই পুরস্কার পাওয়া সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং এশিয়ার মধ্যে প্রথম। সংরক্ষণ–ক্ষেত্রে অন্যতম সর্বোচ্চ বৈশ্বিক সম্মান হিসেবে বিবেচিত এই পুরস্কার সেইসব ব্যক্তিকে দেওয়া হয়, যাঁরা আজীবন প্রাণী ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত।
advertisement
বনতারা প্রতিষ্ঠায় তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য বিশেষভাবে অনন্ত আম্বানিকে সম্মানিত করা হয়েছে। এই পুরস্কার তাঁর বিশ্বজুড়ে বিপন্ন প্রজাতি রক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার স্বীকৃতি বহন করে। তাঁর কাজ শুধুমাত্র ভারতের নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণের ভবিষ্যৎ নতুনভাবে গড়ে তুলছে।
সম্মান গ্রহণ করে অনন্ত আম্বানি সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই পুরস্কার তার কাছে ‘সর্বভূত হিত’—অর্থাৎ সকল জীবের কল্যাণ, এই চিরন্তন নীতিকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বলেন, “প্রতিটি জীবকে মর্যাদা, যত্ন এবং আশার অনুভূতি দেওয়া—এবং সেই পথে সেবা–ভাবনায় পরিচালিত হওয়াই বনতারা-র উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও যোগ করেন, “প্রাণীরা আমাদের ভারসাম্য, বিনয় এবং বিশ্বাসের শিক্ষা দেয়। বনতারার মাধ্যমে আমাদের উদ্দেশ্য প্রতিটি জীবকে মর্যাদা, যত্ন এবং আশা প্রদান করা—সেবার চেতনায় পরিচালিত হয়ে।”
আরও পড়ুন- গোয়ার অভিশপ্ত নাইট ক্লাবে জীবন্ত দগ্ধ বাংলার যুবক, ২৪ বছরেই ঝলসে গেল তরতাজা প্রাণ
গ্লোবাল হিউম্যান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডঃ রবিন গ্যাঞ্জার্ট বলেছেন, “এটি শুধু একটি রেসকিউ সেন্টার নয়, বরং আরোগ্যের এক আশ্রয়স্থল।”
গ্যাঞ্জার্ট বলেন, বনতারা বৃহৎ পরিসরে উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং বিস্তৃত প্রজাতি-সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কী কী সম্ভব, তা নতুনভাবে তুলে ধরেছে।তিনি আরও জানান, অনন্ত আম্বানি বনতারাকে এমন সব উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা সহমর্মিতা ও কল্যাণের একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
