গত ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে সরব হয়েছিলেন ত্রিপুরা বিজেপির একাংশ। রাজ্যের এক মন্ত্রী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি-সহ প্রায় ১৫ জন বিজেপি নেতা পদত্যাগ দাবি করেছিলেন ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ মানিক সাহা। আগামী বছর উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে নির্বাচন। তার জন্যে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-রাশিফল ১৬ মে; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
advertisement
বছরের শুরুতেই ত্রিপুরায় এসে একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তার মধ্যেই দুই বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও আশিস সাহা দল ছেড়েছেন। যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। এই অবস্থায় রাজ্য সভাপতির পদত্যাগ চেয়েছিলেন দলের মন্ত্রী-সহ নেতারা তা নিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। গোটা ঘটনায় সুদীপ-আশিসের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির একাংশ।
বিজেপি নেতাদের তরফে যে তিন পাতার চিঠি দেওয়া হয়েছিল তার মূল বিষয় হল, মানিক সাহা দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির সংগঠনের দশা বেহাল হয়েছে। স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভোটে হেরেছে বিজেপি। সেই স্থান দখল করেছে তিপ্রামোথা। দুই বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মাণিক সাহাই দলের সভাপতি থাকলে ভোটের লড়াই তাদের জন্যে বেশ কঠিনই হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধেই সরব হচ্ছে দলের একাংশ ৷ কারণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা, বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যারা চিঠি দিয়েছেন তারা বলছেন, সংগঠনের কাজ চালানোর মতো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই মানিক সাহার। তিনি ২০১৬ সালে দলে যোগ দেন। তার পরেই কয়েক বছরের মধ্যে তাকে দলের রাজ্য সভাপতি বদে বসিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- গ্রাহক সংখ্যা আরও বাড়ল, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দারুণ ফল বন্ধন ব্যাঙ্কের
সংগঠনে ১০ বছর কাজ না করার আগেই তাকে রাজ্যের সভাপতি করে দেওয়া হল। আসলে মানিক সাহার মাধ্যমে, বিপ্লব দেব দলের রাশ ধরে রাখছেন বলে তারা মনে করছেন। তাই এই চিঠি আসলে পরোক্ষ ভাবে বিপ্লব দেবের উদ্দেশ্যেই বলে মত ছিল একাংশের। তবে গোটা চ্যাপ্টারকে ''জঘন্য কাজ" বলেই উল্লেখ করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরই মধ্যে নাটকীয় পট পরিবর্তন ত্রিপুরায়। বিপ্লব দেব সরলেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। নয়া মুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন ফের রাম প্রসাদ পাল। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি আসেন দেরি করে ৷ যদিও তার নাম রয়েছে মানিক সাহার ক্যাবিনেটেও।