রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৫% ডিএ বাড়ানো হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের সঙ্গে এর পরেও ২৬% ফারাক থাকলেও রাজ্যের এই ঘোষণায় খুশি সরকারি কর্মচারী ও পেনশন উপভোক্তারা ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে মাণিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হয়েই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ৷ তাই ভোটের আগে এটা বিজেপির অন্যতম বড় চমক। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও যথাযথ নয় রাজ্যে ৷ যে শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন-পার্থ তদন্তে যা উঠে আসছে তা হজম করা কষ্টকর হচ্ছে...বিস্ফোরক তাপস রায়!
যদিও এই ডিএ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ত্রিপুরা গভরমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। ওই সংগঠনের মহাসচিব সমর রায় বলেন, “রাজ্য সরকার যে ৫ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যদিও এখনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আমাদের মাইনে এবং ডিএ-র অনেক ফারাক আছে। তাদের ডিএ অনেক বেশি। আশা করি এই রাজ্য সরকার ওই ডিএ-র ফারাক কমাবে।’’
ত্রিপুরার সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে, সেখানে রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেসিক পে-র ৮ শতাংশ হচ্ছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন ৩৪ শতাংশ ডিএ। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হলেও কেন্দ্রর সঙ্গে এই ফারাক থাকছে ২৬ শতাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং সংকট থাকলেও কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে আমাদের রাজ্যের সরকারের উপর অতিরিক্ত ৫২৩.৮০ কোটি টাকা বোঝা চাপবে।
ত্রিপুরার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএ বৃদ্ধির ফলে, ৮০ হাজার ৮৫৫ জন পেনশনভোগী ছাড়াও এক লক্ষ চার হাজার ৬৮৩ জন সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন। আগামী বছরই ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই সেই রাজ্যে সরকারি কর্মীদের মাইনে বাড়িয়ে দিল মানিক সাহার সরকার। ত্রিপুরা প্রশাসন সূত্রে খবর “চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই এই বাড়তি ডিএ কার্যকর হবে। ত্রিপুরার সমস্ত সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা এই সুবিধা পাবেন।”