সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, "ত্রিপুরা যাচ্ছে সিপিআই, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে থাকছেন ৭ জন সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদ। এছাড়াও ত্রিপুরায় কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজয় কুমার থাকবেন এই প্রতিনিধি দলে।" তিনি আরও বলেন, "যেদিন ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে, সেদিন রাত থেকে ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। সন্ত্রাস করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে যেখানে ওরা হেরেছে সেখানে সন্ত্রাস করছে বিজেপি। সিপিআইএম কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: ফের থানায় শুভেন্দুর ভাই, কাঁথির দুর্নীতিতে এবার সাক্ষী সৌমেন্দু অধিকারী!
ইয়েচুরি জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলে থাকছেন, সিপিআইএমের এলামারান করিম, পি আর নটরাজন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, এ এ রহিম, সিপিআই নেতা বিনয় বিশ্বম, এবং কংগ্রেসের অজয় কুমার ও আরও এক নেতা। কংগ্রেসের তিনজন প্রতিনিধি দলে থাকছেন ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক অজয় কুমার, রঞ্জিত রঞ্জন এবং আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: জেরায় বাঙালি অফিসারের পর আদালতেও অনুব্রতর 'বং-কানেকশন'! আজ কেষ্টর সওয়ালেও বিরাট চমক!
অভিযোগ, ত্রিপুরা জুড়েই ভোটের পর থেকে বিরোধীদের উপরে শারীরিক আক্রমণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, বাড়িঘরে আক্রমণ, পরিবার প্রতিপালনের উৎসকে বিনষ্ট করে দেওয়া, মিথ্যা মামলা রুজু করে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, এই অবস্থায় শাসক দলের পক্ষ থেকে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে বিশেষভাবে সদর্থক ভূমিকা থাকা দরকার। ফল প্রকাশের আগে ভিডিও বার্তা দিয়ে রাজ্যবাসীকে শান্তি রক্ষার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি বলেন, রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যার ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২ মার্চ। ভোট গণনার দিন এবং এর পরবর্তী সময়ে শান্তি এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আবেদন রাখছি।’’
