তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই সিআইডির তদন্তকারীরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। সিদ্ধার্থ মজুমদার হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ বলেই সিআইডি সূত্রে খবর৷ সিআইডির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মতো সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সিআইডিকে তল্লাশিতে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ৷ সিআইডির চার আধিকারিককে স্থানীয় থানাতেও নিয়ে গিয়ে কার্যত আটকে রাখা হয়৷ সিআইডি কর্তাদের আশঙ্কা, এই সুযোগে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত জরুরি নথি লোপাট হয়ে যেতে পারে৷
advertisement
আরও পড়ুন- মোদির "ডিপি বদলান" ডাকে সাড়া রাহুল গান্ধির! চমকে দেওয়া প্রোফাইল পিকচার পোস্ট
এই জট কাটাতে রাজ্য পুলিশের তিন উচ্চপদস্থ কর্তা দিল্লি যাচ্ছেন৷ দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে এবার আইনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক গ্রেফতারের পর এবার সিআইডি ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের বাড়িতে অভিযান চালায়। মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ীর থেকেই তিন কংগ্রেস বিধায়ক এক ব্যক্তির মাধ্যমে ৪৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷
এবার সিআইডি তাঁদের বাড়িতে এসে তল্লাশি চালায় সোমবার। মহেন্দ্র আগরওয়ালের পরিবার সিআইডিকে জানায়, বাড়িতে নেই মহেন্দ্র। শেয়ার ট্রেডিং ব্যবসায়ী এই বিপুল টাকা কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে চায় সিআইডি৷ গতকাল ওই ব্যবসায়ীর হেয়ার স্ট্রিটের অফিসে হানা দিয়ে হাওলা স্লিপ, ৩ লাখের বেশি নগদ, ২৫০টি রুপোর কয়েন, ১০টি দলিল, ব্যাঙ্কের পাস বই উদ্ধার করে সিআইডি।
আরও পড়ুন- ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ৭৬এর বৃদ্ধের! ১০টাকা দিয়ে নাবালিকাকে ফেরত পাঠাল অভিযুক্ত
মহেন্দ্রর বাবা জানান, "সিআইডি এসেছিল। মহেন্দ্র বাড়িতে নেই। তিন দিন আসেনি বাড়িতে।" এরপরই তিনি হাতজোড় করে দরজা বন্ধ করে দেন। সিআইডি সূত্রে খবর, মহেন্দ্রর সঙ্গে অসমের কোনও যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
